পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
সমুদ্র তীর বর্তী এই দেশটির মওসুম মনে হয় দুটি। সুনামি যুগ ও অসুনামি যুগ। কখন যে সমুদ্রের গভীর থেকে প্রবল ঢেও এসে কার প্রাণ, কারো আবার প্রাণ প্রীয় আপনজন চিরতরের জন্য নিয়ে যাবে সমুদ্রের তলদেশে, তা বলার সাধ্য যে কারোরই নাই। তেমনি ভাবে কালকেও গ্রামটিতে মেরে কেটে দু'শো জনের মত লোকের বসবাস ছিল।
আজ সকালের পর থেকে সেখানে জনা চল্লিশের খোঁজ মিলছে। যাঁরা রয়েছেন, ভাঙা ঘরের স্তুপ পেরিয়ে ঝড়বৃষ্টি মাথায় ত্রানশিবিরে আপনজনের খোঁজে হত্যে দিয়েছেন। কাল রাতে সুনামির হটাৎ হানার পরে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার উপকূল লাগোয়া বেটু মন্ঙা গ্রামের এখন এই দশা। এই সমস্ত দৃশ্য আপন চোখে দেখার পরও আমাদের কেন যে হুশ হয় না, তা কে বলতে পারবে। সাগর পারের গ্রামের মানুষের সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু বেশি কঠিন, না কি শহড়ের উচ্চ উচ্চ দালানের নিচে সপ্তাহ খানেক চাপা পরে পচে গলে অবশেষে মৃত্য বরণ করা বেশি কঠিন? তা কি কেহ কোনদিন হিসেব করে চলে? চলে না।
আর তাইতো ঢাকায় বসবাসকারীদের শত বীপদ সংকেতেও ভয় আসে না। একবার কেহ চিন্তা করে না যে, ইন্দোনেশিয়ার সুনামির মত সত্যি সত্যই যদি একদিন ঢাকায় বড়ধরণের একটি ভূমিকম্প হয় তাহলে যে ছোট খাটো এক কিয়ামত হয়ে যাবে সেদিকে ভেবে ভেবে ভয় পাবার মত কেহই নাই আজকের ঢাকা শহড়ে। থাকলে কি আর এইভাবে অপরিকল্পিত ভাবে ৩ কোটি মানুষ এক ছোট্য শহরে এসে ভীড় জমাতো???
সুনামির তান্ডবে মৃত ইন্দোনেশিয়ানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।