বুধবার দুপুরে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে আজমেরির মালিকানাধীন উইনার ফ্যাশনসের ওই কার্যালয়ের দারোয়ানসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে এই অভিযানে।
আজমেরির ওই অফিসকে ‘টর্চার সেল’ আখ্যায়িত করে সেখানেই ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তার বাবা নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় ৪০ জন র্যাব সদস্য উইনার ফ্যাশনস কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তারা এই অভিযান চালাচ্ছেন।
“ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা আকাশি রংয়ের জিন্স প্যান্ট, তিনটি লাঠি, একটি কম্পিউটার সিপিইউ, এলসিডি টিভি, কয়েকটা সিসি ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।
”
অভিযান চলার সময় র্যাব ওই এলাকার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। লোকজনের চলাচলও সীমিত করা হয়।
একই সময় এ মামলার আরেক সন্দেহভাজন রাজিবের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলে র্যাব জানিয়েছে।
আজমেরি ওসমান নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ভাতিজা ও সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে। কার্যালয়টির বাইরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইনার ফ্যাশনস এর সাইন বোর্ড বসানো আছে।
নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী গত ৬ মার্চ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যার একটি খালে তার লাশ পাওয়া যায়। সে রাতেই সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন রাব্বি।
এরপর ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, যুবলীগ নেতা পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগসহ সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাতকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে একটি অবগতিপত্র দেন তিনি।
মামলাটি প্রথমে পুলিশের হাতে থাকলেও পরে আদালতের আদেশে তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।