পথ চলতে পথ চলতে
ইউটিউবে 'ওয়াকা ওয়াকা আফ্রিকা' গানটির মিউজিক ভিডিওর শুধু ইংরেজি ভার্সনই বিশ্বজুড়ে দেখা হয়েছে ২৬০ মিলিয়নের বেশিবার। এ ওয়েবসাইটের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি আর মাত্র দুটি ভিডিওই দেখা হয়েছে কেবল। কলম্বিয়ান সুপারস্টার শাকিরা ইসাবেল তাঁর গান আর নাচের ছন্দে গোটা বিশ্বকে এমনই মাতোয়ারা করেছেন যে সারা বিশ্বে চার মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয়েছে এটি। যা ইতিহাসের সর্বাধিক বিক্রীত 'ওয়ার্ল্ড কাপ সং'-এর গায়িকার মর্যাদাও এনে দিয়েছে তাঁকে। এমন একজন বিশ্ব তারকাকে যদি ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও আনা যায়? অসম্ভব নয় জেনেই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেরা আকর্ষণ শাকিরাকে এনে চমকে দেওয়ার মতো এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি যেটি হবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেই অনুষ্ঠানে শাকিরার নাচ-গানের একটি পর্ব রাখার পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানানোও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিল্পী নিজেও ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনীর অংশ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। সবুজ সংকেত পাওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।
জমকালো অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁকে পারফর্ম করার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত চিঠিও পাঠানো হয়েছে শাকিরাকে। যে চিঠিতে কিছু বিষয় তাঁর কাছে নির্দিষ্টভাবে জানতেও চাওয়া হয়েছে। এই যেমন তাঁর পারিশ্রমিক বাবদ দাবি-দাওয়া এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও। সব কিছু ব্যাটে-বলে মিলে গেলেই আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যাটা আরো রঙিন হবে সন্দেহ নেই। অবশ্য বিসিবিও শাকিরাকে আনতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচের বাস্তবতা জেনেই মাঠে নেমেছে।
তাদের এ উদ্যোগের কথা স্বীকার করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদও। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি এ সাবেক ক্রিকেটার, 'ব্যাপারটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। শাকিরাকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি মাত্র। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাকিরা থাকছেন কি না, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে আমরা আশাবাদী যে ইতিবাচক কিছুই হবে। ' সে রকম কিছু হলে বিশ্বকাপের আগেই বাজিমাত করে দেওয়ার কৃতিত্বটা বিসিবি পাবে। আর বাংলাদেশের মানুষ পাবে নিজেদের মাটিতে প্রথমবারের মতো শাকিরাকে পারফর্ম করতে দেখার সুযোগ। যদিও এ কলম্বিয়ানের কাছে বাংলাদেশ নতুন নয়। ২০০৭ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর এ দেশের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।