রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মাইকে আওয়াজ শুনলাম (যাত্রা পালা যাত্রা, আজ রাত ১০ ঘটিকায় বাঘবাড়ি মিছার বাঘ মাঠ প্রাঙ্গনে এক বিশাল যাত্রা পালার আয়োজন করা হইয়াছে। যাত্রার নাম "গরিবের মেয়ে" "গরিবের মেয়ে"। উক্ত যাত্রা পালায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান স্বর্নপদক প্রাপ্ত জনাব মোহাম্মদ শওকত হোসেন সরকার। যাত্রা পালার নায়িকা ঢাকা হতে আগত প্রিন্সেস শাবানা, আরও থাকবে যুমুর যুমুর নাচ আর গান।
আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত। )
শুনেই আমার ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল। শীতের রাতে জেকেট পড়ে আর কানে মাফলাট পেচিয়ে,মায়ের দেওয়া ১০ টাকা নিয়ে চলে যেতাম দেখতে। কিন্তু কিছু রাত হওয়ার পরই ঘুমিয়ে পরতাম। ১বার মনে আছে যাত্রা দেখতে যেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আমার মাফলাট টা কে যেন চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল।
ঘুম থেকে উঠে দেখি যাত্রা শেষ এখন নাচ হবে।
নাচের কথা এখানে আর না বলাই ভাল। কিন্তু আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন এসেছিল এই শীতের মধ্যে মেয়েগুলো কিভাবে এত অল্প কাপড় পড়ে আছে? শীত করে না!
একবার আমাদের বাড়ির পাশের স্কুল মাঠে যাত্রা হয়েছিল। যাত্রার নাম ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা। তো অভিনয়ের এক পর্যায়ে তার মোছ (গোফ) খুলে যা্য়।
তখন সে ডায়ালগ দেয় "মোছ যখন খুলে গেছে মোছ দিয়ে আর কি করব, তবু আমার এই বাংলাকে ঐ শুত্রদের হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। " আফসোস নবাব সিরাজউদ্দৌলা পারেণনি তার বাংলা রক্ষা করতে, আর যাত্রাপালার এই নবাব সিরাজউদ্দৌলা পারেণনি তার মোছ রক্ষা করতে।
সবচাইতে ভাল লাগত যাত্রার মেয়েগুলো সবার প্রথমই দেশের গান গাইতেন। আবার পরক্ষনেই যখন এরাই অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাবুজি যারা দীরে চলো এই গানের সাথে উদ্দ্যত নৃত্য করত তখন খারাপ লাগত। তারা কি করবে তাদের যে সবই যানতে হ্য়।
আজও যাত্রা হচ্ছে,মাইকের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। একটা মেয়ে গান গাচ্ছে দেশের গান, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়...............................................................................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।