আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম মেক্সিকোর প্রখ্যাত পুরাকীর্তি চিচেন ইতজা

aurnabarc.wordpress.com

পিরামিড শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে আসে নীল নদ আর পিরামিডের দেশ মিশরের নাম। তবে আমাদের অনেকেরই হয়তো অজানা আছে মিশর বাদেও পৃথিবীতে অন্য স্থানে গড়ে ওঠে সুউচ্চ ও সুদৃশ্য পিরামিড। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি বর্তমান মেক্সিকোর উত্তরে অবস্থিত মায়া সভ্যতার বিখ্যাত পিরামিড চিচেন ইতজার কথা। চিচেন ইতজা নামকরনের বিষয়টিও অনেক মজার। আমরা চিচেন ইতজার বিশ্লেষণ করলে তিনটি বিষয় পাই।

Chi ,chen এবং Itza এটির উৎপত্তি মায়া শব্দ "Chi" - মুখ(mouth) "Chen" কুপ ( well) এবং "Itza" - এই অঞ্চলে বসবাসরত একটি ট্রাইবের নাম। চিচেন ইতজা প্রকৃতপক্ষে একটি পিরামিড। সুতরাঙ প্রাচীন মেক্সিকান শব্দ চিচেন এর অর্থ হচ্চে কুয়োর মুখ। ইতজা ওই স্থানে বসবাসরত একটি জাতি। অর্থাৎ পুরো নামের অর্থ দাঁড়ায় ‘ইতজা কুয়োর মুখ’।

চিচেন ইতজা অবশ্য আরো একটি নামেও পরিচিত। সেই নামটি হচ্ছে আনসাইবানাল’। এ শব্দটির অর্থ সপ্তপ্রভু বা সাত শাসক। এই পিরামিড আমেরিকা মহাদেশের মেক্সিকোতে নির্মিত হয়েছে। কবে কে বা কারা অন্যতম বিস্ময়কর এ স্থাপনাটি নির্মাণ করেন তা সঠিকভাবে জানা যায় না।

তবে ধারণা করা হয়, এখন থেকে ১৪০০ বছর আগে ৬০০ সালে চিচেন ইতজা পিরামিডটি নির্মাণ করা হয়। অবশ্য এই মতবাদের সঙ্গে দ্বিমতও পোষণ করেন কোনো কোনো ইতিহাসবিদ। দ্বিতীয় মত পোষণকারীদের ধারণা এক টোলটেক রাজা কুয়েতজাল কোতল এর সময়কালে ৯৮০ সালে এটি নির্মিত হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধারণা করেন যেস্থানে এই পিরামিডটি নির্মিত হয়েছিল তা কুয়েতজাল কোতলের রাজধানী হতে পারে। জুক্কা টান বা ইউকাতান এর চিচেন ইতজা নির্মিত হয় আমেরিকা মহাদেশে মায়া সভ্যতার সমসাময়িক।

এটি কে আসলে কি হিসেবে ব্যবহার করা হতো তার কোন উৎকৃষ্ট ব্যাখ্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা দাঁড় করাতে সক্ষম হননি। এক অর্থে এটি সমগ্র মেসোআমেরিকার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতন দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য হিসেবে প্রশংসার দাবি রাখে। এটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট বিচার করতে গেলে সামগ্রিকভাবে এটি মায়া ও টলটেক এর মিশ্রিত ধারাকে রেপ্রিজেন্ট করছে। আমরা মায়া টলটেক মিশ্র ধারার মধ্যে এটিকে সনাক্ত করতে পারি ("El juego de la Pelota" অথবা "El Castillo") হিসেবে যেটির অর্থ করা যায় কুয়েতজাল কোতলের সম্মানার্থে । তবে গাঠনিক বৈশিষ্ট বিচার করে পিরামিডটি পরিচিত হয় নানা নামে।

ধাপে ধাপে নির্মিত হয়েছে বলে একে স্টেপ পিরামিডও বলা হয়। সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত বলে এক কেউ সূর্য দেবতার মন্দিরও বলে। তবে ‘চিচেন ইতজা’ নামটিই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। পরবর্তিকালে এটিকে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি হিসেবে সম্মানিত করা হয়। তাছাড় এটি এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নস্থান ও বটে ।

আমি ফেসবুকে বন্ধুদের মাধ্যমে সংগৃহীত এবং অনলাইনে প্রাপ্ত বেশ কিছু ফটোগ্রাফ শেয়ার করতে চেস্টা করবো। আর্ক জিআই এস এবং অটোক্যাড এর সাহায্যে তৈরীকৃত একটি স্থানিক মানচিত্রায়ন বিভিন্ন আঙ্গিক হতে তোলা চিচেন ইতজার কিছু নয়নাভিরাম আলোচিত্র চিত্র -০১ চিত্র -০২ চিত্র -০৩ চিত্র -০৪ চিত্র -০৫ চিত্র -০৬ চিত্র -০৭ চিত্র -০৮ চিত্র -০৯ চিত্র -১০ চিত্র -১১ চিত্র -১২ চিত্র -১৩ চিত্র-১৪ চিত্র-১৫ চিত্র-১৬ চিত্র-১৭ চিচেন ইতজাতে আবিষ্কৃত ধ্বংসাবশেষ একটি প্রতিকৃতি প্রতিকৃতি রিলিফ ভাস্কর্য ভাষ্কর্য একটি অনন্য সুন্দর প্রতিকৃতি জন্তুর পায়ের ছাপ জন্তুর রিলিফ কয়েকটি স্তম্ভ পড়ন্ত বিকেলের সোনালি রোদে চিচেন ইতজা চিচেন ইতজাতে বিশ্বের নানা স্থান হতে আগত পর্যটকের সমাগম এক দুই তিন চার চিচেন ইতজার বিখ্যাত কুপ এক দুই তিন মোঃ আদনান আরিফ সালিম অর্ণব স্নাতক সম্মান অধ্যয়নকারী ও প্রত্নতাত্বিক গবেষক, ব্লগার ও অবির্মানবাদী লেখক. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.