আমি সত্য জানতে চাই
(প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি ‘পুয়ের্তো প্রিন্সেসা ভূগর্ভস্থ নদী’)
প্রকৃতির সপ্তাশ্চর্য হিসেবে নির্বাচিত আশ্চর্যতম সৃষ্টি ফিলিপাইনে অবস্থিত পুয়ের্তো প্রিন্সেসা পার্কের ভূগর্ভস্থ নদী। পুয়ের্তো প্রিন্সেসা পার্কের ভূগর্ভস্থ এই নদীর বিস্ময়তা আর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের কারণে এটি এখন পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, মৃত রাষ্ট্রপতি ফারডিন্যান্ড ই মারকস-এর নির্দেশে তৈরী করা হয় এই পার্কটি। পুয়ের্তো প্রিন্সেসা পার্কের মাটির নিচে অবস্থিত এই নদীর দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার তবে নৌকা চলার নাব্যতা আছে চার কিলোমিটার পর্যন্ত আর সুড়ঙ্গটি প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং ভূগর্ভস্থ পানির অনুপূরণের জন্য ১৯৯৯ সালে পার্কের পরিধি বাড়িয়ে করা হয় ২২,২০২ হেক্টর।
ভূগর্ভস্থ এই নদী এবং এর আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নৌকা, অক্সিজেন মাস্ক, নিরাপত্তা জ্যাকেট, হেলমেট এর্ব ব্যাটারি প্রজ্বলিত আলো নিয়ে যেতে হবে পাহাড়ের মধ্যে সুড়ঙ্গের ভেতরে। নিকশ আলো অন্ধকারের মাঝে প্রজ্বলিত মিটি মিটি আলোয় দেখা মিলবে অসংখ্য বাদুড়ের। এগুলো ঝুলন্ত রয়েছে পাহাড়ের ঘা ঘেষে চারপাশ জুড়ে। এখানে আরও রয়েছে ছোট ছোট সাপ। যা মাঝে মধ্যেই উকি দিচ্ছে ঝাপসা আলোয়।
ভূগর্ভস্থ এই নদীর উপরে পাথরের বিভিন্ন আকৃতি আর রঙে ফুটে উঠেছে কল্পনা জগতের পরিচিতি বিভিন্ন দৃশ্য।
(পুয়ের্তো প্রিন্সেসা নদী দেখতে আসা একদল পর্যটক)
প্রতিদিনই দেশ- বিদেশের অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসছে এই স্থানটিতে আর উপভোগ করছে পুয়ের্তো প্রিন্সেসা পার্কের ভূগর্ভস্থ নদীর আশ্চর্যরূপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।