আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের প্রথম ঘর: পাহাড়ের গুহা (পর্ব ০১)

কোন পলিটিক্স পছন্দ করি না। গবেষণা ছাড়া কিছু বুঝি না।

প্রথমদিকের মানুষেরা, বিশেষত প্রত্নপ্রস্তর যুগের মানুষেরা, তাদের শিকার ও সংগ্রহের জীবনে তেমন কোন আশ্রয়স্থল তৈরি করে নি। খুব স্বল্প পরিসরে মাথা গোজার ঠাই হিসেবে যেটুকু আশ্রয়ের সাহায্য তারা নিয়েছিল তা ছিল প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টি ও ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য। যে সব গুহাগুলোতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল সেগুলোর খুব কম সংখ্যকের সামনেই তারা রাতের বেলা বা অন্য কোন সময়ে আবরণ, বেড়া বা দরজা বসাত।

অর্থাৎ সব সময়ে তা প্রাকৃতিক অবস্থায় পাওয়ার মতই খোলা থাকত। আগুনের আবিষ্কারের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুহামুখের সামনে সার্বক্ষণিক আগুনের ব্যবস্থা করা হত, যা আসলে একদিকে বন্য প্রাণির আক্রমন থেকে বাচাত এবং অন্যদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে গুহার পরিবেশ গরম রাখত। অনেক সময়ে কোন গুহায় অনেক আগে থেকে হিংস্র প্রাণি বাস করে থাকলে সেখান থেকে প্রাণিগুলোকে তাড়িয়ে দিতেও মানুষ আগুনের ব্যবহার করত। বাস্তবিক অর্থেই সর্বশেষ বরফযুগের সময়টাতে যে ভয়াবহ ঠান্ডা আর প্রচন্ড রকমের রূক্ষ আবহাওয়ার কারণে যে অনিরাপদ জীবন ছিল, তা থেকে বাচার জন্য পাহাড়ের গুহাগুলোর চেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক অন্য কোন স্থান আর ছিল না। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, ঐরকম ভয়াবহ অবস্থায়ও গুহাগুলোকে আদি মানুষেরা স্থায়ী আবাস হিসেবে না নিয়ে বরং সাময়িকভাবে বা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়কালীন ঋতুভিত্তিক অস্থায়ী আবাস হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল।

কেন? সহজেই বোঝা যায় যে, বেচে থাকার জন্য খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে। কারণ বরফের প্রচন্ডতায় উদ্ভিদের তেমন প্রাচুর্য ছিল না এবং সে জন্য প্রাণির সংখ্যাও তুলনামুলকভাবে কম ছিল। আর বেচে থাকার প্রয়োজনে মানুষকে ঘুরে বেড়াতে হত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ক্রমাগত ও রিরামহীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.