শিক্ষিত মূর্খ। আকিবুকি। গননা করবার শখ আর জাগেনা আগের মত। মাথাটাকে না খাটাতে খাটাতে তেলের ড্রাম হয়ে যাচ্ছে।
শিশুদের একা ছেড়ে দিতে নেই।
একা ছেড়ে দিলে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হল ছেলেধরা ধরে নিয়ে আরব দেশে পাচার করে দিতে পারে। শোনা কথা ওইসব দেশে ছোট বাচ্চাদের নাকি উটের জকি হিসেবে ইউজ করা হয়। বাচ্চারা যত জোরে কান্না করে উট ততো জোরে দৌড়ায়।
খুবই ভয়ানক ব্যাপার।
ইহা একটি শিশুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। শিশুদের একা ছেড়ে দিবেন না হারিয়ে যেতে পারে।
মানুষ আজকাল শিশুদের নিয়ে ক্যালাস হয়ে গিয়েছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম বড়রা আমাকে নিয়ে খুবই ভয়ে থাকত।
সবসময় ছেলেধরার ভয়ে অস্থির থাকত সেই সময়ের বড়রা। একা এদিক ওদিক যেতে দেয়া হত না মোটেও। আর এখন কি সময়টাই না আসল। বাচ্চারা এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে কারো কোন খেয়াল নেই চিন্তা নেই।
আসল ঘটনায় আসি।
আসলে সত্য বলতে কি আমারো এই বিষয়টা নিয়ে অতশত মাথা ব্যাথা ছিলনা। একটা আধা ভয়ংকর কাহিনী ঘটবার পর আমি এই গুরুত্বপূর্ন বিষটা সবার সামনে এনে ধরার ইচ্ছে হয়। ঘটনা আমাদের প্রিয় লেখক অন্ধ আগন্তুককে নিয়ে। যারা তার ভারী ভারী লেখা পড়ে তাকে মুরুব্বি ভাবছেন তারা স্রেফ বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। নিচের স্ক্রীনশটটা দেখুন
স্ক্রীনশটের লাল অন্ডারলাইন করা লেখা গুলো পড়ে ইতমধ্যেই নিশ্চয় অন্ধ আগন্তুক(অ আ) সম্বন্ধে আপনাদের প্রচলিত ভুল ধারনা শুধরে গিয়েছে।
এবার আসি আধা ভয়ংকর কাহিনীতে। কাহিনীর প্রেক্ষাপট ১৬ই ডিসেম্বর, দ্য গ্রেট ইন্সম্নিয়াক ক্লাবের আড্ডা @ সোহ্রাওয়ার্দি উদ্যান। কমবখত বাধন ওরফে স্বপ্নকথক ওরফে রুদ্রফটাপ আমাকে বিকেল ৪ টার মধ্যে ছবির হাটে পৌঁছাতে বলে। সোয়া ৪ টার ভেতর পৌঁছিয়ে দেখি ফটাপ আর রাঝাস ছাড়া কেউ নেই। একজন দুজন আসতে থাকতে বেশির ভাগেরই খবর নেই।
হঠাৎ শুনলাম অ আ আসবে। যেহেতু ও আগে থেকেই আমার এফ বি ফ্রেন্ড তাই ও যে কিউট পিচ্চি বেবী তা আগে থেকেই জানতাম। ও আসবে শুনে আমার বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠল। প্রথমত বলতে গেলে এটা ওর বাবা মার উদাসীনতা। এত ছোট বাচ্চাকে কোন মতেই একা বাসার বাইরে বের হতে দেয়া ঠিকনা।
তো পিচ্চিটা কিউট বাচ্চাটা সহ আরো অনেকে আসল, ব্যাপক খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল কিন্তু এর মাঝে যে এত ভয়ংকর একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা টের পেলাম বাসায় ফিরে আড্ডা পোস্ট দেবার পর। হামা ভাই নিচের কমেন্ট টা দিলেন তার দীপা হাসান নিক থেকে
কিন্তু কাহিনীটা মোটেও কোন মজার কাহিনী ছিলনা।
কিউট সুইট পিচ্চিটা আবার ঘোড়েল। কাহিনী না বুঝার ভান করে জিগেস করল কি কাহিনী ঘটেছে।
দীপা হাসান এবার জানালেন যে ঘটনা অ আ কে নিয়েই।
এটা বলে উনি খেউক করলেন
এরপর আবার ফাহাদ চৌ ভাই জানালেন যে ঘটনা উনিও জানেন।
এবার সুইট কিউট পিচ্চিটা ঘাবড়ে গেল। দীপা হাসানের নামে ষড়যন্ত্রের অপবাদ আনল এবং ফুলকপি ডীপজলের কসম খেয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেবার অপচেষ্টা করল।
এই জিনিসটা অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেলেও আমার নজর এড়ায়নি মোটেও। আমি এফ বি চ্যাট এ হামা ভাই কে চেপে ধরলাম ঘটনা জানার জন্য।
ঘটনা শুনে আমার গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে গেল।
যারা ওইদিন ভার্সিটি এরিয়ায় গিয়েছিলেন তারা জানেনই কি রকম ভীড় ছিল। তো এই গ্যাঞ্জামের মধ্যে হামা ভাই আর ফাহাদ ভাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আর সুইট কিউট বাচ্চাটাকে ফোন দিয়ে বললেন তাদের খুজে বের করতে!! তো সুইট কিউট বাচ্চাটা অবধারিত ভাবে হামা ভাই আর মিশু ভাইকে খুজতে গিয়ে হারিয়ে গেল। পরে হামা ভাই আর মিশু ভাই ই কিউটিকে খুঁজে বের করে আড্ডায় নিয়ে আসে [ঘাম ছাড়ানোর ইমো]
পোস্ট শেষ করছি হামা ভাই আর মিশু ভাই কে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে। কোথায় আপনারা ছোট শিশুদের প্রোটেক্ট করবেন, তা না উলটো তাদের সেইফটি হ্যাম্পার করছেন।
অবশ্য আপনারা ধন্যবাদ পাবার ও দাবিদার কারন আপনারা যদি সুইটুকে শেষ্মেষ খুজে না বের করতেন না জানি কি হয়ে যেত। হয়ত সুইটুকে ছেলেধরা ধরে নিয়ে যেত আর আরবে পাচার করে দিত। সুইটুর কান্নার দাপটে ঊট দৌড়াত। ভাবতেই বুক ফেটে কান্না আসছে [বুক চাপড়ে কান্নার ইমো ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।