পার হয়ে যাই তালুকদারের বাড়ি
ঝিনুকের ডানা নেই, শোনো
ডানা থাকে পাখিদের
বলতে পারো ডানাহীন পাখিই ঝিনুক
কিংবা, ডানাওলা ঝিনুকের নাম দিতে পারো পাখি
যা খুশি তা বলো
বহু অতীতের আত্মহননের যুগ ভুলে গেছে লোকে
সে-যুগের মহাকাশ ছিলো জলতলে, পৃথিবীর
ওপরে অনেক জল, অগণন জলের প্লাবন
জলারণ্যে আলো দেয় গহীন গরান,
হিজল সেগুনে নীড় খোঁজে জলহাঁস । ওঠে জলচাঁদ ।
দূর বনস্থলী জুড়ে জলশঙ্খ জলপাখি জলঝিনুকেরা
গায় জলজোছনার গান । জলগুল্মে ডাকে জলঝিঁঝি বর্ষা অফুরান...
তখন কোথাও মাটি নেই ভূমি নেই
তখন পৃথিবী জুড়ে ছিলো এত জল...
জলবৃক্ষে দিন যায় জলগুল্মে রাত্রি আসে
মাটি নেই, মাটির বিহনে শস্য নেই—
ক্রন্দনের ভূমি নেই জল নেই, জল ছিলো অসীমে প্রকাশ...
এই সমুদয় জলে যার বাস
তার বুকে বালু দিলে সে কি আশ্রয় হারায়?
শোনো, অত অতীতের কথা ভালো মনে নেই কারও—তবে
একদিন কীভাবে কখন বালু এলো, বালু থেকে মাটি
সমাধির মতো মাটির সমূহ সাধ...
সেই থেকে মাটির পৃথিবী জুড়ে বহুদিন
বহুদিন ওড়ে সেইসব আকাশঝিনুক
বৃক্ষে বৃক্ষে বসে সেইসব জলপাখি—
পাখির ডানায় লেগে থাকা বালু দেখে
তথাপি কোথাও জল;
ঝিনুক সমুদ্রে থাকে—
মাটি কিংবা আগুনের কিছুই না জেনে,
ঝিনুকে সমুদ্র নয়!
শোনো, জলজীবনের অবসান হলে
পড়ে থাকে অতীতের সেই ডানাবদলের স্মৃতি—জলঝিনুকের জলপাখিদের—
লোকালয়ে একা একা নিরালোকে বয়ে যায় সেই জলচাঁদ—
আসে জলের গ্রহণ...
যারা দেখতে পায়, হেমন্তের শূন্য মাঠে
তাদের গাইতে হয় চিরসত্য কোনো এক আত্মহননের গান...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।