আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিয়ামতের এক অপরুপ নিশানা ।। পড়লে ভালো হয়।

আমি যাকে চাই সে কেন আমার হয় না,যে আমাকে চায় আমি কেন তার হই না।

আল কুরআনের সুরা বাকারা থেকে কিছু আয়াতের উপর তাফসির -------- বণি ঈস্রাইলের যুগে এক এলাকায় মানুষের মধ্যে মারাত্মক রোগ দেখা দিয়েছিল, সেখানে প্রতিদিন মানুষ কোনো না কোনো রোগে মারা যেতো। তাই ওই এলাকার মানুষরা মৃত্যুর ভয়ে অন্য এক এলাকায় গিয়ে দুই পাহাড়ের মাঝখানে একটি জায়গায় মিলিত হয়। তাদের ধারণা ছিল ্যে , তারা ওই গ্রাম থেকে পালাতে পারলে তারা বাচঁতে পারবে। কিন্তু আল্লাহ পাক বলেন, মউত যখন নিকতবর্তী হয়, তখন কেউ তাদের কে রক্ষা করতে পারবেনা।

নবী করিম (সঃ) বলেন , কোন এলাকায় যদি কোন মহামারি দেখা দেয়, তাহলে সেখান থেকে পালাবার চেষ্ঠা করবেনা, কারন হায়াত মওত সব কিছুর মালিক আল্লাহ,আবার অন্য কোনো এলাকায় মহামারি দেখা দিলে সেখানে ইচ্ছা করে ও যেও না। মোট কথা ওই এলাকার মানুষ গুলা পাহাড়ের নিচে অবস্থান করছিল, সেখানে ১ /২ জন মানুষ নয়, সেখানে ছিল প্রায় ১০,০০০ জন মানুষ। ওই সময় আল্লাহ ২ ফেরেশ্তা পাঠাইলেন এবং ফেরেশ্তারা ওই পাহাড়ের পাশে এসে বিকট ১ টা শব্দ করলেন, সাথে সাথে ১০০০০ মানুষ লাশ হয়ে পড়ল। বাচতে পারলোনা মৃত্যুর হাত থেকে। ঘটনা দেখার পর ওই এলাকার লোকজন বললো, একসাথে ১০০০০ মানুসের দাফন কাফন করা আদৌ সম্ভব নয়।

তারা এই সব লাশ গুলাকে ওই পাহাড়ের মাঝে রেখে দিল। এবং ২ দিকে দেয়াল দিয়ে একটা বর্ডার দিয়ে রেখে দিল। অনেক দিন পর তাদের লাশ গুলা পচে শুধু কঙ্কাল এ পরিণত হলো। শুধূ হাড্ডি আর হাড্ডি তাও জয়েন্ট ছাড়া। তারপর একদিন ওই এলাকা দিয়া ১ নবী (নাম ; হযরত হিযক্বিল আঃ ) যাওয়ার সময় পাহাড়ের মাঝে দেয়াল দেখে যান্তে চাইলেন, এখানে দেয়াল কেনো?? আমি দেখব।

তারপর ঘটনা দেখে তিনি বললেন, ইন্নালিল্লাহি ...........রাজিউন। এই খানে ত শুধু হাড্ডী আর হাড্ডী .খুব ওবাক হলেন। পরে কিছু মানুষ বললেন পুরো ঘটনা। এদের দাফন কাফন ত কিছু হয় নি। আল্লাহ আকবার।

তিনি সাথে সাথে আল্লাহর কাছে দুয়া করলেন , হায় আল্লাহ আপনি এই মানুশ গুলাকে জীবিত করে দেন। এদের ত দাফন কাফন কিছু হয় নি। জানাযা ও হয় নি। আল্লাহ পাক হযরত হিযক্বিল আঃ কে বল্লেন আপনার দুয়া গ্রান্টেড হবে, আপনি এই ভাবে দুয়া করেন, আল্লাহ দুয়া শিখিয়ে দিলেন এই ভাবে আরবির অর্থ ," হে বিস্তৃত হাড্ডি, তোমরা সব একসাথে জয়েন্ট হয়ে যাও, সাথে সাথে সব হাড্ডি একত্রিত হয়ে গেলো। আবার আল্লাহ পাক বলেন, তুমি এই দুয়া করো যে, সব হাড্ডী কে বলো, মাটি তোমাদের যে যে মাংস খেয়ে ফেলছে সব ফিরিয়ে দিতে আর সব মাংস আগের মত হাড্ডির সাথে মিশে গেল।

তারপর আবার দুয়া করতে বললেন, এই দেহের মাঝে রুহ ফিরিয়ে দাও। রুহ ফিরে এলো, সাথে সাথে সবাই জ়ীবিত হয়ে গেল। আশ্চর্যজনক হলেও ঘটনা সত্য । এই ঘটনা বনী ঈস্রাইলের প্রায় ১০০০(এক হাজার) জন মানুষ সরাসরি দেখতে পেল। এবং সাথে সাথে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলে আল্লাহর নাম নিতে লাগলো।

। পরবর্তীতে এই ১০০০০(দশ হাজার) মানুষের পর্যায় ক্রমিক স্বাভাবিক মৃত্যু হয় এবং দাফন কাফন হয়.। এই জিনিস্টা হলো "কিয়ামতের একটা নিশানা" অর্থাৎ মৃত্যুর পর আল্লাহ তা'আলা কাল কিয়ামতের ময়দানে আবার সবাইকে পুনঃজীবিত করবেন.। যদি আমল ভাল হয় তাহলে জান্নাতের অধিবাসি করবেন এবং আমল খারাপ হলে জাহান্নামে অধিবাসি করবেন.। জান্নাত বাসিদের জন্য আল্লাহ তালা স্থায়ী জীবন দান করবেন.।

সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ.। আমি সব ঘটনা সুন্দর ভাবে লিখতে পারি নি সময় স্বল্পতার কারনে। আল্লাহ পাক আমাদের কে এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। । আমীন।

সুরা (বাকারা) পারা নম্বর ২ আয়াত নং ২৪৩,২৪৪ আল কুরআন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.