ফুল স্টপ বলতে সাধারণত বুঝায় এক সেকেন্ড বিরতি. আমিও তাই জানতাম, কিন্তু এই এক সেকেন্ড বিরতির চিহ্নই যে কত মারাত্মক তা আমাকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল এক দিন। এবার ঘটনাটা শেয়ার করা যাক । আমার চাকরি কনর্ফাম, সব কিছু ঠিক শুধু প্রতিষ্ঠানটি আমার সার্টিফিকেট নিয়ে এপয়ন্টমেন্ট লেটার প্রদান করবে । আমি সার্টিফিকেট জমা দিলাম। বাস কাজ হয়ে গেল।
একজন অফিসার আমাকে বলল আপনার সার্টিফিকেটে ভুল আছে । আমি পড়লাম আকাশ থেকে । ব্যাটা বলে কি। তিনি সেই সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেন আরোও বড় অফিসারের কাছে। আমাকে ডাকা হলো বেশ কিছু প্রশ্ন করল ।
পরে আমাকে দেখানো হলো সেই বিশাল ভুল টি। ভুলটি হলো আমার এক সার্টিফিকেটে এমডি নামের পরে ফুল স্টপ না হয়ে হাইপেন হয়ে আছে। আমি ব্রেনে ধড়াম করে এক বাজ পড়ল । এই ভুল ,এইটা কে গুরুত্বই দিই নি , কিন্তু আমি গুরুত্ব দিলে না দিলে কি হবে, আমার এপয়টমেন্ট আটকে গেল। আমাকে এক সপ্তাহ সময় দেয়া হল ভুল সংশোধন করার জন্য।
আমার সকল অর্জন এক ফুল স্টপের জন্য স্টপ হওয়ার উপক্রম। আমি সার্টিফিকেট গুলো বগোল দাবা করে বের হয়ে আসলাম। বাসার সবাই তো জানে আমি জবে জয়েন্ট করে আসছি। কিন্তু ঘটনা শোনার পরে সবাই হতাশ হলো শুধু আমার বোন হাসতে লাগলো, হাসতে হাসতে বললো ফুল স্টপের জন্য তোর চাকরিতে জনেয়্ট করতে পারলি না, দেখ আমি আমার সার্টিফিকেটে কোন ফুল স্টপই দেয়নি ডাইরেক্ট নাম কোন এমডি টেমডি কিছুর ঝামেলা নেই। কি আর করা আমি সেই রাতে আমি ঢাকায় রওনা দিলাম সাটিফিকেট সংশোধন করার জন্য ।
সেখানে গিয়ে দেখলাম আরেক কাহিনী । এক ফুল সংশোধন করতে তাদের ১৫ দিন লাগবে। কে সাইন করবে কে ঠিক করবে সেটাই কেউ যেন বলতে পারেনা। যা হোক আমার ভাগ্য ভালো ভুলটা এসএসসি সার্টিফিকেটে হয় নি তা না হলে খবর ছিল। আমি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চলে এলাম ।
ভাগ্য খারাপ পরে জানলাম সেখানে এক পিয়ন আছে তার হাতে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিলেই সেদিনই কাজ হয়ে যেত।
সো ফুল স্টপ নিয়ে সাবধান ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।