আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা

গণমাধ্যমকর্মী, চেয়ারম্যান - উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান, সদস্য সচিব - সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন।

প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা ভূমিকা: প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা যেমন ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশের ভারসাম্য ও সুষম জলবায়ুর প্রয়োজনে একটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত বৃক্ষ থাকা খুবই প্রয়োজন। বৃক্ষহীনতার কারণে পৃথিবীর নতুন নতুন অঞ্চল মরুময় হয়ে পড়ছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, বনের ওপর নির্ভরশীল বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানবজীবন সমস্যায় পড়তে পারে আগামী শতকের মাঝামাঝিতে। তিন দশমিক পাঁচ বিলিয়ন কিউবিক মিটার কাঠ ব্যবহার করে প্রতিবছর আট হাজার বর্গহেক্টর বনভূমি ধ্বংস করছে পৃথিবীর মানুষ। বনভূমি ধ্বংস হওয়ার ফলে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিমের বহু বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিস্তৃত এলাকার মরুময়তা রোধে ২০ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়ন-বৃক্ষায়ন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বৃক্ষের অবস্থা: বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি খুব কম।

তদুপরি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বনভূমি কাটার মাত্রাও ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য কোনো দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৯৪৭ সালে দেশের আয়তনের ২৪ শতাংশ বনভূমি ছিল। ১৯৮০-৮১ সালে তা কমে হয় ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ এবং বর্তমানে মাত্র ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। এ আশঙ্কাজনক ঘাটতির কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিবিধ প্রয়োজন মেটানো।

এর মধ্যে কৃষিজমির সম্প্রসারণ, বসতবাড়ি স্থাপন, শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, গৃহনির্মাণসামগ্রী ও আসবাবপত্রের ব্যবহার, রাস্তা, বাঁধসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার, নগরায়ন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। উল্লিখিত কারণগুলোর মধ্যে জ্বালানি হিসেবে বনজসম্পদের ব্যবহার ৯৫ শতাংশ দায়ভার বহন করে। এ ছাড়া নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন—বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষতি করে। অদূর-ভবিষ্যতে সাধারণ প্রয়োজনে বৃক্ষসংকট এক প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্বের বৃক্ষের অবস্থা: বৃক্ষ সভ্যতার সহায়ক।

জাতিসংঘের এক রিপোর্টে দেখা যায়, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশ অপেক্ষা অধিক হারে বৃক্ষ কর্তন করছে। এর নানা অশুভ প্রতিক্রিয়া সারা পৃথিবীকে প্রভাবিত করছে। ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত কমে গেছে এবং সাগরে পনি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উপকূলবর্তী ভূ-ভাগ সাগরতলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে এবং জীবনযাত্রা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত বনাঞ্চল এবং বৃক্ষরোপণ: বনভূমি দ্রুত কমে আসায় সারা বিশ্বের জনগণের সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও সচেতন জনগণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বৃক্ষহীনতায় নিচের দূষণগুলো ঘটছে। গ্রিন হাউস ইফেক্ট: গ্রিন হাউস অর্থ হলো, সবুজ ঘর। মূলত এটা একটা কাচের ঘর, যার মধ্যে তাপ সংরক্ষণ করে সবুজ গাছপালা জন্মানো হয়।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ অপরিবাহী গ্যাসের আবেষ্টনীর জন্য সূর্য থেকে প্রাপ্ত তাপ ধরে রাখার মতো গ্যাসীয় আবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এ গ্যাসীয় আবরণ গ্রিন হাউসের কাচের মতো কাজ করে। এ তাপ ধারণ অবস্থা যখন নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে তখন তা জীবকুলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। কাচের দেয়াল ও ছাদবিশিষ্ট গ্রিন হাউসের ভেতরের উত্তাপ কাচের ভেতর দিয়ে বাইরে যেতে পারে না। গ্রিন হাউসের কাচ যেমন প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে, তেমনি কার্বনডাই-অক্সাইড, সিএফসি, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি গ্যাসে তাপ বিকিরণে প্রতিবন্ধক হয় ওঠে।

বিজ্ঞানীদের মতে, ২০০৮ সালে বিশ্বের তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে, আর্কটিক মহাদেশের বিশাল বরফস্তর গলে যাবে। ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়বে। সমুদ্রে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাত্ মালদ্বীপ, বাংলাদেশসহ বহু দেশ ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাবে। গ্রিন হাউস ইফেক্ট থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃক্ষ কাটা রোধ ও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। না হলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।

ভূমিক্ষয়: বৃক্ষহীনতার কারণে অনবরত ভূমিক্ষয় বাড়ছে, নদীর বৃদ্ধি পেয়েছে। বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয়ের প্রবণতা বাড়ে এবং খরা ও মরুকরণ ত্বরান্বিত হয়। এক গবেষকের মতে, একটা গাছ তার পঞ্চাশ বছর জীবনকালে প্রায় দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে। তাই ভূমিক্ষয় রোধে বৃক্ষরোপণ আশু প্রয়োজন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বাংলাদেশে উপকূলীয় দুর্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীহীনতার কারণে।

বাংলাদেশের সুন্দরবন দুর্যোগের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধে উদ্ভিদ: পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে উদ্ভিদ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। প্রাণিজগত্ শ্বাস-প্রশ্বাস ও দহনকার্যের ফলে প্রচুর পরিমাণ কার্বনডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে যোগ করছে এবং সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করছে। প্রাণিজগত্ যেমন বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে, অন্যদিকে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস করছে। সবুজ উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডলের এ ভয়াবহতা দূর করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

সবুজ উদ্ভিদ বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে। উদ্ভিদ মাটিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রেখে মাটির ক্ষয়রোধ করে। গ্রিন হাউস ইফেক্ট থেকে রক্ষা পেতে হলে উদ্ভিদ রোপণ করতে হবে। উন্নত পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে পাশ্চাত্যের বড় শহরগুলো হয়ে উঠেছে বৃক্ষ-আচ্ছাদিত। অপরদিকে প্রাচ্যের দেশগুলো দিনের পর দিন বৃক্ষ কর্তন করছে।

তাই প্রাচ্যে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে পরিবেশ সচেতন মানুষের পরিবেশবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার। বৃক্ষরোপণ অভিযান: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমরা যেমন স্নান করি, সুতিবস্ত্র পরি, তেমনি বাড়ির চারদিকে যত্নপূর্বক একটি বাগান করে রাখা ভদ্রপ্রথার প্রকাশ্য কর্তব্য হওয়া উচিত। ’ সরকার বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সবাইকে অনুধাবন করতে বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে তত্পর হয়েছে। সরকারপ্রধান বৃক্ষরোপণের তাত্পর্য তুলে ধরে একটি স্লোগান নির্দিষ্ট করেছেন, ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। ’ বলা হচ্ছে, একটি গাছ কাটলে তার বদলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে দেশ বাঁচাতে সরকার জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহকে বেছে নিয়েছে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ হিসেবে। এ সময়টায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন নার্সারি থেকে লাখ লাখ বৃক্ষচারা জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে নতুবা নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বনজসম্পদ উন্নয়ন: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বনজসম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি খুবই কম।

নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তনের ফলে আমাদের বনভূমি সংকুচিত হয়ে আসছে। আমাদের বনভূমি সংকুচিত হয়ে মোট স্থলভাগের শতকরা নয় দশমিক তিন ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশের বনজসম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ দরকার। বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের বনজসম্পদের উন্নয়ন করা যেতে পারে। নতুন বনভূমি সৃষ্টি: বাংলাদেশের নদীর তীর, উপত্যকা, পাহাড়ি উঁচু অঞ্চল এবং সমুদ্র উপকূলে বনভূমি গড়ে তুললে বনাঞ্চল বৃদ্ধি পাবে।

নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন রোধ: আমাদের বনজসম্পদের ওপর মানুষের বেপরোয়া হামলা চলছে। নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন রোধ করে বিনষ্ট হয়ে যাওয়া বনকে আবার সজীব করে তোলার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ: বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ ও অভয়ারণ্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গৃহীত হলে বনজসম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ অনেকাংশে নিশ্চিত হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি: বনাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে বিনামূল্যে বিভিন্ন জাতের চারাগাছ সরবরাহ করতে পারলে বনায়ন প্রক্রিয়া জোরদার হবে। বনজসম্পদ উন্নয়নে সরকারি ব্যবস্থা: বাংলাদেশ সরকার দেশের বনজসম্পদের গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এর উন্নয়ন ও সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তা ছাড়া বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে এবং বনবিষয়ক শিক্ষা প্রদানের জন্য সিলেটে একটি বন মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বনজসম্পদের ওপর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বেসরকারিভাবে কাঠ ও অন্যান্য দ্রব্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন এলাকা সম্প্রসারণের জন্য বনের আশপাশের জমি সরকারি দখলে আনা হয়েছে ও বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে প্রায় ৫২ হাজার একর জমিতে নতুন বন সৃষ্টি করা হয়েছে।

সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে নতুন বন সৃষ্টি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে ১৩ হাজার একর নতুন জমিতে রাবার গাছ লাগানো হয়েছে। বৃক্ষসম্পদ উন্নয়নে করণীয়: বৃক্ষসম্পদ বৃদ্ধিতে নিচের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে— ১. সামাজিক বনায়নের জন্য নতুন এলাকা বেছে নিতে হবে। যেমন—নদীর ধার, পাহাড়ের ঢাল, উপকূল, রেল বা সড়কের পাশে অধিক হারে গাছ লাগাতে হবে। ২. বনভূমি থেকে কাঠ সংগ্রহের জন্য আর কোনো গাছ যেন না কাটা হয়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গাছ কাটা হলে আবার নতুন চারা রোপণ করে শূন্যতা পূরণ করতে হবে। ৩. বনভূমির নতুন নতুন এলাকা অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশে নতুন নতুন বন সৃষ্টি করে তা অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাণীদের রক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আমাদের দেশেও সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. জ্বালানি হিসেবে কাঠের বিকল্প খুঁজতে হবে এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে গ্যাস বা বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই, সেখানে সৌরশক্তিকে কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. বৃক্ষরোপণ শুধু সপ্তাহে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরের সব সময়ই তা চালিয়ে যেতে হবে। বর্ষার পুরো সময়ই এ কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। ৬. সরকারিভাবে বনায়নের যে উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে, তা দূর করতে হবে। বনভূমি সংরক্ষণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ৭. চোরাপথে বৃক্ষ ও প্রাণীনিধন দূর করতে হবে।

সবাই সচেতন হলে সরকারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সার্থক হবে। উপসংহার: বৃক্ষরোপণ বা বৃক্ষসম্পদের উন্নয়ন আমাদের অস্তিত্বের জন্যই জরুরি। পাশাপাশি এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। কাজেই কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, আমাদের আন্তরিকভাবেই বনজসম্পদের উন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। কেবল সরকারি বা এনজিও পর্যায়ে নয়, এ ব্যাপারে আমাদের পারিবারিক এবং ব্যক্তিগতভাবেও উদ্যোগী হতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.