গত ২৯ জুলাই হত্যাকাণ্ডের রাতে মিল্কি মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী সাগরের সঙ্গেই বেরিয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপাকে গত ৩ অগাস্ট তার ধানমণ্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্যবসায়ী সাগরের সঙ্গে বুধবার হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর মণ্ডলও।
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মিল্কি। চঞ্চল সংগঠনের উত্তর শাখার নেতা।
মিল্কি হত্যাকাণ্ডে তিনিও জড়িত বলে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের সন্দেহ।
মিল্কি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন খুনি এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার পর র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মধ্যরাতে মিল্কিকে হত্যার সময় তারেকও গুলিবিদ্ধ হন বলে র্যাব জানায়। পরে উত্তরার ফরচুন হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডের পর চঞ্চলের প্রাইভেটকারেই গুলিবিদ্ধ তারেককে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান।
ওই গাড়ি চালিয়েছিল জাহাঙ্গীর।
শপার্স ওয়ার্ল্ডের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র থেকে খুনি হিসেবে তারেককে চিহ্নিত করার কথা জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মিল্কিকে খুনের পর পাজামা-পাঞ্জাবি পরা যুবক একটি মোটর সাইকেলের পেছনে চেপে বসে চলে যাচ্ছেন।
র্যাব কর্মকর্তাদের দাবি, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তারেকের সঙ্গে সাগরের স্ত্রী লোপার পরকীয়া ছিল।
মিল্কির গতিবিধি সাগরের স্ত্রীই খুনিদের জানিয়েছিলেন বলে সন্দেহ তদন্ত কর্মকর্তাদের।
লোপা গত ৪ অগাস্ট হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার দুই মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে ও এমদাদুল হক সাক্ষী সাগর এবং আসামি জাহাঙ্গীরের জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন।
মিল্কির ভাই মেজর রাশিদুল হক খান এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারেকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন।
মিল্কি হত্যামামলায় লোপা ও জাহাঙ্গীর ছাড়াও ছয়জন এখন কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- তুহিনুর রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী রুমি, রাশেদ মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম নুরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার এবং চঞ্চলের ভগ্নিপতি শরীফ উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।