গুলশানে যুবলীগের নেতা রিয়াজুল হক খান ওরফে মিল্কি খুনের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় এক মাস। বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের দুই পরিকল্পনাকারী একই সংগঠনের নেতা সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল ও ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফ এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ঢিমেতালে চলছে মামলার তদন্তকাজ। শুধু তা-ই নয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা মিল্কির পরিবারের সঙ্গে ইদানীং যোগাযোগ করছেন না বলে জানা গেছে।
গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে খুন হন মিল্কি। পুলিশ জানায়, যুবলীগের নেতা জাহেদ সিদ্দিকী তারেক পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন মিল্কিকে।
হত্যার পরপরই ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন মিল্কির ভাই মেজর রাশেদুল হক খান। এর এক দিন পর এই খুনের মামলা তদন্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) দায়িত্ব দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এ টি এম হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে জানান, পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান তত্পরতা চালানো হচ্ছে। তবে চঞ্চল কোথায় আছেন, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে এর আগে র্যাবেরই আরেক কর্মকর্তা প্রথম আলো ডটকমকে বলেছিলেন, ‘চঞ্চলকে ধরতে ধরতেও ধরা যাচ্ছে না।
চঞ্চল কেবলই ফসকে যাচ্ছে। ’
গুলশান থানার একটি সূত্র জানায়, শপার্স ওয়ার্ল্ডের ভিডিও ফুটেজ উদ্ধারের পর থেকে আরিফ ও চঞ্চল পলাতক। পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত, মিল্কি হত্যার সময় তারেকের সঙ্গে ছিলেন চঞ্চল। আর আরিফ গুলশান থানায় গিয়ে পুলিশকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত এপ্রিল-মে মাসে জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচি চলাকালে মিল্কিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল চঞ্চল ও আরিফের।
এতে করে হত্যার দায় অন্যদের কাঁধে চাপানো সহজ হতো। পুলিশের ভাষ্যমতে, গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নেই, যার সঙ্গে চঞ্চল জড়িত ছিলেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।