জিনা কে ভালু পাই! আর কিশোর, মুসা ও রবিন-ত্রয়ীকে গদাম!
মাননীয়া পরধানমন্ত্রী অবশেষে চোরা ইউনুসের প্রতি বিষোদগার করলেন। যদিও ইউনুস সাহেবের প্রতি উনার ওই অমার্জিত বচন খুবই কটু লাগল আমার কাছে। একজন সরকার প্রধান যদি বিচারের আগেই এই টাইপের আক্রমনাত্মক কথা বলেন তাইলে তো ভাই (ও বোন) বিপদ! হাজার হোক, ইউনুস সাহেব তো একটা নোবেল প্রাইজ পাইসেন, যেটা এখনো ইন্টারন্যাশনাল একটা স্বীকৃতি। এইভাবে ঢালাও ভাবে দেশের একটা স্বীকৃ্তিকে অপদস্ত করাটাকে রং হেডেড মস্তিষ্কের কাজ বইলাই মনে হইলো।
বিচারের আগে আমরা নিজেরা নিজেরা দ্যাশের ভিত্রে ইউনুস স্যারকে গালিগালাজ করতে পারি, সমস্যা নাই।
কিন্তুক সরকারের প্রধান যখন গালাগালি করবেন, সেইটা তো আর শুধু দ্যাশের ভিত্রে থাকবো না, সেইটা বাইরের লোকজনেরও কানে যাইবো, নাকি? বাইরের লোকজন যখন আমাগোর এক বঙ্গসন্তানরে গালিগালাজ করবো, তখন কি আমাগো ভাল লাগবো? হাসিনা ম্যাডামের ওই বিষোদগার কিন্তু বাইরের লোকগুলারে খুবই উৎসাহ দিতেসে (উদাহ্রন – ডঃ মনমোহন সিংহ)।
যাই হোক, এদিকে আবার নোবেল জয়ীর পক্ষের কিছু লোকজন প্রচারণা চালাইতেসেন যে, শেখ হাসিনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল, পরত্থম বাংলাদেশী হিসাবে নোবেল প্রাইজ জেতার। সেটা ব্যর্থ হওয়াতে নাকি তিনি একটা ক্ষোভ পুইষা রাখছিলেন মনের মধ্যে। সেই ক্ষোভের জ্বালায়-ই নাকি সেদিন ইউনুসের নামে যা-তা বইলা মনের ঝাল মিটাইসেন।
যুক্তির খাতিরে ধরেন মাইনাই নিলাম ওই ক্ষোভের কথা, তারপরও আমার একটা কথা থাকে।
উনার না হয় পরত্থম বাংলাদেশী হিসাবে নোবেল প্রাইজ পাইয়া ইতিহাসে নাম লেখানোর আর সুযোগ নাই। কিন্তুক পরত্থম বাংলাদেশী নারী হিসাবে নোবেল প্রাইজ পাইয়া ইতিহাসের ভিত্রে ঢুইকা যাওয়ার চান্স এখনো আছে কইলাম। সময় থাকতে থাকতেই এই সুবর্ন সুযোগটার সদ্ব্যবহার কইরা ফেলানো বুদ্ধিমানের মত একটা কাজ হইবো কিন্তুক।
তাই হাসিনা বুবুর কাছে অনুরোধ করতেসি, খামখা ওই চোট্টা ইউনুইচ্চার পিছে লাইগা থাকনের দরকার নাই। তার চাইতে আপ্নে এখন খুব সুন্দর সাহিত্য লিখতেসেন - খুব ভালা পাইসি আমি।
এই সাহিত্য রচনায় আরো একটু বেশী সময় ও মনোযোগ নিবেশ করেন। আমরা দ্যাশবাসী দোয়া করবো যেন, এই সামনের বারেই আপ্নে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাইয়া আমাগোরে বিয়াফক আনন্দের একটা উপলক্ষ দিবেন, এবং পরত্থম বাংলাদেশী নারী হিসাবে নোবেল পাইয়া আমাগোরে গর্বে গর্ভবতী কইরা দিবেন!
আমিন, চ্ছুম্মা আমিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।