মুক্ত আকাশ দেখব বলে বয়ে চলা। আকাশ কেন মুক্ত হয় না।
রুনা বেশ ক'বছর হল রাজনীতির সাথে জড়িত। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি তাকে কাছে টানে। তাই অন্য অনেক কিছু বাদ দিয়ে রাজনীতিকে বেছে নিয়েছে পড়াশুনার বাইরের বিনোদন আর নেশা হিসেবে।
পরিবার থেকে সবসময়ই বাঁধা এসেছে--কিন্তু হাল ছাড়েনি রুনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সহজেই নেতাদের নজর কাড়ে তার বিচক্ষন রাজনৈতিক সচেতনতার কারনে। আর তাই তরতর করে উপরে উঠে যায়। এভাবেই তার রাজনীতিতে আসা। তারপর দলের হয়ে কত কাজ করেছে।
দলের প্রয়োজনে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছে। ভাল লাগে এখন তার।
ক'বছর হল রুনার বিয়ে হয়। ঘর-সংসার ভালই চলছে-সমান তালে চলছে তার রাজনীতি।
তার দল কখনো ক্ষমতায় যায় আবার কখনো বিরোধী দলে।
এভাবেইতো রাজনীতির পথ চলা। ক'দিন আগে দল নেত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার কারনে হরতাল দেয়। রুনা বিচলিত হয়। আবারও আন্দোলনে যেতে হবে, হউক না তার মনের বিরুদ্ধে। দল যেহেতু চাইছে হরতাল পালন করতেই হবে।
সর্বাত্বক হরতাল চাই।
হরতালের দিন। রুনা সকাল থেকেই মাঠে। সকালে কোনমতে নাস্তা খেয়ে বের হতে পেরেছিল। মিছলের সাথে সবার আগে।
মেয়েদের একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাত করেই মহিলা পুলিশের একটি দল সামনে চলে এল। সামনে আগাতে দিচ্ছে না। রুনা এগিয়ে যায়। বুঝিয়ে বলতে চায়--আমরা শান্তিপূর্ন মিছিল করছি--আপনারা কেন ঝামেলা করছেন।
কে শুনে কার কথা। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। মেয়েদের মহিলা পুলিশ ধরে নিয়ে গাড়িতে উঠায়। ধরে নিয়ে যাওয়ার ছবি ক্যামেরাবন্দী করে সাংবাদিকরা।
তারপর সেই ছবি ছাপা হয় পত্রিকায়।
মহিলা পুলিশের হাত বুঝা যায় না। শুধু বুঝা যায় একটি হাত তার গোপন জায়গায়। আর এ নিয়ে তার দলের মানুষও সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে। ছবি ছাপিয়ে দেয় পত্রিকায়, পোস্টারে, ব্লগে। ব্লগে নানান বাজে বাজে মন্তব্যে ভরে যায়।
রুনা কোথাও যেতে পারে না। সমাজে তার চলন সীমিত হয়ে যাচ্ছে। তার স্বামী তাকে বাঁকা চোখে দেখছে। রুনা অসহায়ের মত কি করবে ভেবে পায় না--------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।