ছাগু হুমকি ভেস্তে গেল!
ঈদ জামাত বয়কটের আহবান, সকল অপপ্রচার ও হুমকি, হামলার হুমকি উপেক্ষা করে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহত্ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েগেল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
বিম্পি-ছাগুরা ও আফগান ছাগুরা(হেফাজত) বাশেরকেল্লার মাধমে অবিরাম ঈদ জামাত বয়কট ও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ কে হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। কয়েকটি চটি পত্রিকাও কৌশলে লিখে 'এবারে ঈদে শোলাকিয়া ঈদগাহ জামাতে হাঙ্গামা হতে পারে'।
কিন্তু সবই বৃথা গেল! কাকডাকা ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। সকাল নয়টার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে আশপাশের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে কয়েক দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করে। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত যাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন‘ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করে।
এবার জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ ও কিশোরগঞ্জ শহর সাজিয়ে এক ব্যতিক্রমী ঈদ উত্সবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ নির্মাণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও শহরের বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং শহরজুড়ে বিভিন্ন হাদিসসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারপত্র বিতরণ করে মুসল্লিদের শোলাকিয়া ঈদগাহে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
শোলাকিয়া ময়দানে এবার স্মরণকালের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২১টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠ ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
১১টি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষন টাওয়ার স্থাপন করে পুলিশ RAB
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।