একজন মুমিনের ঈমান তার কোন কাফের স্বজনও আত্মীয়ের উপকারে আসে না। ঈমান একান্ত নিজের বিষয় এবং কেবল নিজেকেই মুক্তি দেয়। যেমন হযরত নূহ আঃ এর ছেলে পিতা নবী হওয়া সত্তেও মহা প্লাবন থেকে রক্ষা পায়নি। সুরা আত-তাহরীমে যেমনটা বলা হয়েছে-চারজন নারী সম্পর্কে। এদের দুইজন পয়গম্বরের পত্নী।
তারা ধর্মের ব্যাপারে আপন আপন স্বামীর বিরুদ্ধচারন করেছিল ্বং গোপনে কাফের ও মোশরেকদেরকে সাহায্য করেছিল। ফলে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে। আল্লাহতায়ালার প্রিয় পয়গম্বরের বৈবাহিক সাহাচর্যও তাদেরকে আযাব থেকে রক্ষা করতে পারে নি। তাদের একজন হযরত নুহ আঃ পত্নী, তার নাম 'ওয়াগেলা' । অপরজন হযরত লূত আৎ এর পত্নী, তার নাম 'ওয়ালেহা' কথিত আছে।
(কুরতুবী) তৃতীয়জন সর্ববৃহৎ কাফের, খোদায়ী দাবীদার ফেরাউনের পত্নী ছিলেন, কিন্তু হযরত মুসা আঃ উপর বিস্বাস করেছিলেন। আল্লাহ তাকে মহান মর্যাদা দান করেছেন এবং দুনিয়াতেই তাকে জান্নাতের আসন দেখিয়েছেন। চতুর্থজন হযরত মরিয়ম। তিনি কারও পত্নী নন, ঈমান ও সৎকর্মের জন্য আল্লাহ তাকে নবুওতের গুনাবলী দান করেছেন, যদিও অধিকাংশ আলেমের মতে তিনি নবী নন।
বোখারী ও মুসলিমের এক হাদিসে রসুল সাঃ বলেন - তোমাদের কাউকে শুধু তার সৎকর্ম মক্তি দিতে পারে না যে পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা কৃপা ও রহমতের ব্য্য্যবহার না করেন।
সাহাবা কেরাম আরয করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ, আপনাকেও মক্তি দিতে পারে না? তিনি বললেন ঃ হাঁ আমাকেও(মাযহারি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।