বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন
"বেশী করে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান" এই ভুল স্লোগানে মত্ত হয়ে দেশী বনাঞ্চল ধ্বংস করে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ও সিলেট এলাকায় বাংলাদেশ বন বিভাগ সামাজিক বনায়নের নামে ব্যাপক হারে বিদেশীগাছ যেমন ইউক্যালিপটাস, একাশিয়া, মেহগনি, শিশু, সেগুন ইত্যাদি বেশী পরিমানে লাগাচ্ছে। এতে উৎসাহিত হয়ে ব্যাক্তি পর্যায়েও প্রচুর বিদেশীগাছ যেমন ইউক্যালিপটাস, একাশিয়া, মেহগনি, শিশু, সেগুন ইত্যাদি লাগেনো হচ্ছে। সড়কের দুই ধারে লাগানো গাছের প্রায় ৯৯% হল এসব বিদেশী গাছ। বাংলাদেশের প্রাণবৈচিত্র হ্রাসের এটিও অন্যতম কারন।
কারন:
১. কোন এলাকায় কি কি গাছ জন্মাবে তা ঐ এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন মাটি, পানি, জলবায়ু ইত্যাদির উপর নির্ভর।
২. কোন এলাকায় কি কি প্রাণী বাস করবে তা ঐ এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন মাটি, পানি, জলবায়ুর সাথে সাথে গাছপালার উপর নির্ভরশীল।
৩. বিদেশী গাছ লাগানো প্রকৃতপক্ষে গাছ কাটাকে উৎসাহিত করে কারন এটা লাগানো হয় যাতে বড় হলে কেটে বিক্রি করা যায়।
৪. বিদেশী গাছে আমাদের বন্যপ্রাণীরা থাকতে পারে না এবং তারা ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এভাবে ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়।
এই কারনে বিদেশী গাছ দেশী প্রাণবৈচিত্রের জন্য শায়ক নয়।
যেমন অস্ট্রেলিয়ার ইউক্যালিপটাস গাছ অস্ট্রেলিয়ার প্রাণীকূলের (কীটপতঙ্গ, পাখি, অন্যপ্রাণীদের) জন্য উপযুক্ত কিন্তু বাংলাদেশের প্রাণীদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয় দিতে পারে না ।
এই কারনে দেশী গাছের বদলে বিদেশী গাছে কোন এলাকা ছেয়ে ফেললে তা আমাদের প্রাণীদের বিলুপ্ত ঘটায়।
সম্ভাবনা:
১. বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী গবেষকদের প্রচুর কষ্টের পর বাংলাদেশ বন বিভাগ কিছুটা হলেও কর্নপাত করতে শুরু করছে এবং আমাদের দেশীয় বনাঞ্চল সংরক্ষন ও বৃদ্ধির জন্য আইন, অভয়ারন্য ঘোষনা কিছু প্রকল্প ও নতুন কিছু প্রকল্প গ্রহন করেছে বলে শুনতেছি।
২. আমাদের ব্যাক্তিগতভাবে ও দেশী গাছ লাগাতে হবে এবং গাছকাটা বন্ধ করতে হবে।
স্লোগান হওয়া উচিত বেশী করে দেশী গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।