একজন নির্ভিক পুংটার কোন বন্ধু নেই।
আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন প্রথম বাড়িতে না বলে খুলনা ঘুরতে গেছিলাম। তখন থেকেই শুরু। বাংলাদেশের কোনায় কোনায় ঘরে ফিরেছি। দেখেছি, শিখেছি, জেনেছি, খেয়েছি....... অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।
আজকে কিছু খাওয়ার কথা বলবো।
খাগড়াছড়ি বেড়াতে গিয়ে দিঘিনালা বাস স্ট্যান্ডের হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে জানলাম ওদের কাছে হাতির মাংস আছে। এক প্লেট ৩৫ টাকা। অর্ডার দিলাম। মাংশটা শুটকি করে রান্না করা।
বড় বড় আশ দাতে ঢুকে যাচ্ছিল।
বান্দরবান শহরের তোজো রেষ্টুরেন্টে খেলাম.. গুইশাপ Click This Link
রাঙামাটির বরকলের এক দুর্গম গ্রামে যেয়ে প্রথম খেয়েছিলাম অজগর।
প্রথম জলখাশি মানে কচ্ছপ খেয়েছিলাম নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে।
কুমিরের মাংশ খাওযার সৌভাগ্য হয়েছিল থাইল্যান্ডে।
বান্দরবানের কেওকারাডাঙের ধারের দার্জিলিং পাড়ায় খেয়েছিলাম কাঠবেড়ালীর ভর্তা।
বরগুনার পাথরঘাটায় গিয়ে এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে খাশির মাংসের নামে খাইয়ে দিল হরিনের মাংস।
ব্যাঙ, কাকাড়া, আক্টোপাস. স্কুইড ইত্যাদি ইত্যাদিতো কোরিয়ার রেষ্টুরেন্টে অহরহ খাওয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহ গিয়ে এক ঘরোয়া আড্ডায় প্রথম স্বাদ নিয়েছিলাম বনখাশির।
নেট থেকে রেসিপি নামিয়ে ধেড়ে ইদুরের কাবার বানিয়ে খেয়েছি।
শামুক ঝিনুক তো দারুন টেষ্ট।
যেহেতু আরিচা ফেরিঘাট দিয়ে অনেক যাওয়া আসা ছিল এবং ঘাটে থাকমলেই খাশির মাংস আর ভাত ছিল প্রিয় তাই কুকুরের মাংস না চাইলেও খাওয়া হয়ে গেছে।
এছাড়াও অনেক অনেক খাবার খেয়েছি যা অনেকের কাছেই ওয়াক বলে মনে হবে। সেসব নিয়ে নাহয় অন্য কোন সময় আরো বিস্তারিত লিখবো। তবে এক এক যায়গা জানতে হলে দেখতে হলে বুঝতে হলে তাদের সাথে মিশতে হলে খাবার টা তাদের মতই খাওয়া দরকার।
দুঃখ একটাই মানুষ খেয়ে সব বন্যপ্রাণী শেষ করে ফেলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।