আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরবানী হলো.....মাংস খাবো তো??

আমার কোনো গুণ নাই...কিন্তু আমি বেগুন না।
স্বাস্থ্য-সচেতন অনেকেই গরুর মাংস খেতে চান না। কিন্তু এটা খেয়াল রাখতে হবে শরীরে সব ধরনের উপাদানের চাহিদা মেটাতেই হবে। সেই সঙ্গে শরীর রাখতে হবে ঠিকঠাক। মাংসে যা থাকেঃ বিশেষ করে প্রোটিন, ফ্যাট, আয়রন।

আয়রন শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। গরুর মাংসে যে প্রাণিজ প্রোটিন পাওয়া যায় তা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের চেয়ে ভালো। কতটুকু খাবেনঃ জেনে নিন। প্রতিদিন একজন মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের পরিমাণ ৪৮ দশমিক ৫ গ্রাম। গরুর মাংস থেকে সহজেই তা পূরণ করা সম্ভাব।

পূর্ণ বয়স্ক একজন মানুষ এক দিন পরপর দুই পিস মাংস খেতে পারেন। শারীরিক সমস্যা না থাকলে। বাচ্চারা দুই থেকে তিন পিস মাংস খেতে পারেন। বিরত থাকুন: যাদের করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্থূলতা, ডায়বেটিকস, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, উচ্চ রক্তচাপ, বাত, উদরাময় ও আমাশয় রয়েছে তাঁরা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে গরুর মাংস খাবেন। খাওয়ার আগেঃ *শিক কাবাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে।

তাই শরীরের জন্য তা কম ক্ষতিকর। *মাংস যেন অধিক সিদ্ধ করা হয়। *খাওয়ার আগে গরম পানিতে মাংস কিছুক্ষণ রেখে দিলে চর্বি ছেড়ে যাবে। এরপর মাংসটা তুলে লেবু বা টকদই দিয়ে মিশিয়ে রান্না করলে চর্বির ঝামেলা থাকবে না। সব কথার শেষ কথাঃ আমাদের আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি লাভ করা উচিত এবং মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে উৎসর্গ করার মনোভাব হওয়া উচিত, যেন পশু কুরবানির সাথে-সাথে আমাদের কুপ্রবৃত্তি বা পশুশক্তির কুরবানি হয়ে যায় এবং আমাদের ত্যাগ ও উৎসর্গের মাধ্যমে অসহায়, নিরাশ্রয় ও অনাথ মানুষের মুখে হাসি ফুটে, তাহলেই ঈদুল আযহার আনন্দ সত্যিকারের আনন্দ হবে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.