আর একটি যুদ্ধ চাই
চীনা শহর গোয়াংজুতে এশিয়ান গেমসের চোখ ধাঁধানো উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো।
ছোট ছোট ৪৫টি নৌকার বহর। বৈদ্যুতিক আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন অ্যাকুয়াটিক শো আর ছয় হাজার শিল্পীর নিপুণ উপস্থাপনাশৈলী। এসবের মধ্য দিয়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে শুরু হয়েছে ১৬তম এশিয়ান গেমস। পার্ল নদীতে জেগে ওঠা হেইক্সিংসা দ্বীপে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪ মিনিটে পর্দা উঠেছে এশিয়ার বৃহত্তম এ গেমসের।
এবারের আসরে ৪২ ডিসিপিস্ননে অংশ নেবে ৪৫ দেশের ১০ হাজার এ্যাথলেট। দ্বোধনী অনুষ্ঠানেরই এক ফাঁকে নিজ নিজ দেশের পতাকা হাতে মার্চপাস্টে অংশ নিয়েছেন অ্যাথলেটরা।
বাংলাদেশের পতাকা উরিয়েছেন শুটার আবদুল্লাহেল বাকী। ১৬ ডিসিপিস্ননে অংশ নিতে বাংলাদেশের এ্যাথলেটরাও গুয়াংজুতে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের ৫৩ জন নারী খেলোয়াড়সহ ১৫২ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করছেন।
পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট, গলফ, কাবাডি ও ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ পদক জয়ের আশা নিয়ে লড়াই করবে।
এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে এবারের আসরটি সবচেয়ে বড়। কেননা আগের আসরের তুলনায় বেড়েছে ডিসিপিস্নন ও ইভেন্ট। সঙ্গতকারণেই প্রতিযোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের আসরে ৪৫ দেশের রেকর্ড ১০ হাজার এ্যাথলেট অংশগ্রহণ করছে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৬ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার যাত্রা হল, যা চলবে ২৭ নবেম্বর পর্যনত্ম। প্রথমবারের মতো গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে অনত্মর্ভুক্ত হয়েছে ছয়টি নতুন ক্রীড়া ডিসিপিস্নন। এগুলো হলো ক্রিকেট, ড্যান্স স্পোর্ট, ড্রাগন বোট,রোলার স্পোর্টস ও দাবা।
৬০ বছর আগে ভারতের দিলস্নীতে এশিয়ান গেমসের যাত্রা শুরম্ন হয়েছিল। প্রথম ওই আসরে ৬ ডিসিপিস্ননে মাত্র ১১ দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।
কিন্তু ক্রমশ এই গেমসের বিসত্মার ঘটেছে। প্রতি আসরেই বেড়েছে ক্রীড়াবিদ, দেশ, ডিসিপিস্ননের সংখ্যা। ১৯৫৪ সালে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত গেমসে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা ১১ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯। এ আসরে সাইক্লিং বাদ দেয়া হলেও নতুন করে শূটিং ও কুসত্মি অনত্মর্ভুক্ত হওয়ায় ডিসিপিস্নন বেড়ে দাঁড়ায় ৮টিতে। ২০০৬ কাতারের রাজধানী দোহা আসরে এ্যাথলেটের সংখ্যা ছিল ৯৫২০ জন।
এবার গুয়াংজুতে তা ছাড়িয়ে ১০ হাজারে।
শুভকামনা বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়ারের জন্য,এগিয়ে যাক বাংলাদেশের খেলোয়াররা ........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।