আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গতকাল পালিত হলো সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ১৬তম বার্ষিকী

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] আজ থেকে ১৬ বছর পূর্বে বসনিয়া যুদ্ধ (১৯৯২-১৯৯৫) চলাকালীন সময় ১৯৯৫ সালের ১১ই জুলাই কুখ্যাত সার্ব সেনারা বেলগ্রেডের তৎকালীন সরকারের সমর্থনে সেব্রেনিৎসা শহরটি দখল করে জাতিসংঘের তথাকথিত ডাচ শান্তিরক্ষীদের সামনেই ৮ হাজারেরও অধিক বসনিয়ান মুসলিম পুরুষ ও বালক হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সেব্রেনিৎসাকে 'নিরাপদ' শহর হিসেবে ঘোষণা করার পর বিভিন্ন এলাকার বহু আতংকিত মুসলিম সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু হল্যান্ডের তথাকথিত শান্তিরক্ষীরা ওই সব মুসলিমদের জীবণ রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংগঠিত সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড সেব্রেনিৎসা গণহত্যা। সেব্রেনিৎসা গণহত্যার প্রধান তিন আসামী গত বছর সেব্রেনিৎসার বিভিন্ন গণকবর থেকে মোট ৬১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয় যার মধ্যে ১১ বছরের বালক থেকে শুরু করে ৮২ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষায় দেহাবশেষগুলো শনাক্ত করার পর গতকাল কবর দেওয়া হয়। এর আগে গণহত্যার শিকার আরো ৪৫০০ জনকে ঐ এলাকায় সমাহিত করা হয়। এই দিনটিকে স্মরণ করে গতকাল বসনিয়ায় সেব্রেনিৎসা গণহত্যার ১৬তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সেব্রেনিৎসা শহরে পনের হাজারেরও অধিক মানুষ এক শোকানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন যেখানে গণহত্যার শিকার প্রত্যেকের নাম পড়ে শোনানো হয়। নিহতদের পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের কবরের পাশে দাড়িয়ে প্রার্থনা করে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সেব্রেনিৎসা গণহত্যার মূল হোতা সাবেক সার্ব সেনা কমান্ডার রাতকো ম্লাদিচ আটক হওয়ার এবারের গণহত্যা বার্ষিকীটি একটি আলাদা মাত্রা পায়। বর্তমানে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে ৬৯ বছর বয়সী ম্লাদিচের বিচার চলছে। অতি সম্প্রতি হল্যান্ডের একটি আদালত সেব্রেনিৎসায় তিন জন বসনিয়ান মুসলিমকে হত্যার জন্য ডাচ সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে।

তথ্যসূত্রঃ en.wikipedia.org/wiki/Srebrenica_massacre english.aljazeera.net bangla.irib.ir  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।