দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
‘আপনারা অনেকেই নাজিরের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন করেন। এ রকম অভিযোগ আমার হাতের মধ্যে আছে। অনেকই বদলি হওয়ার সময় দাবি করেন, “তোমরা তো আমাকে একটা কিছু দিবে, কোরআন শরিফ আর লাঠি না দিয়ে একটা ডিপ ফ্রিজ দিয়ে দিও। ” আমার কাছে তথ্য আছে। তবে সবাই নেন না।
কেউ কেউ নেন। ’
আজ শুক্রবার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সম্মেলনের শেষ দিনে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শেষ দিনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ১৬০ জন জেলা জজ ও সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা অংশ নেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন।
তাঁরা আমাদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট নন। বিচার বিভাগ এখন জনগণের কাঠগড়ায়। এর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। সভ্যতার চরম শিখরে উপনীত হওয়ার পেছনে রয়েছে আইনের অবদান। ’
খায়রুল হক আরও বলেন, ‘একমাত্র আইন ও বিবেকের দ্বারা নিজেকে পরিচালিত করতে হবে।
আপিল মঞ্জুর করতে পারেন, খারিজ করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, আল্লাহর দৃষ্টিশক্তির বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শেষ দিনের কথা স্মরণ রাখতে হবে। ওই দিন সাধারণ মানুষ হিসেবে বিচার হবে না, বিচার হবে বিচারক হিসেবেই। ন্যায়বিচার করলে সুসংবাদের কথা ইসলামে ও হাদিসে আছে।
একটি ন্যায়বিচার করলে সাতটি আকবরি হজের সওয়াব পাবেন। এ সুসংবাদ ন্যায়বিচারের জন্য। আর এটা শুধু বিচারকদের জন্য। ’
এই ভাবেই বিচারক হয়ে বিচারকদের নগ্ন করলেন প্রধান বিচারপতি। তার শেষের বক্তব্যে মনে হয় এবার দেশে কিছুটা হলেও ন্যায় বিচার পাবে মানুষ! পাক্কা হুজুরের মতো কথা বলেছেন।
যাক আমরা সাধারণ মানুষ সেই আশাতেই আঙ্গুল চুষতে থাকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।