চারপাশে আত্মমুগ্ধ আদিমতাবোধ, আর গ্রন্থিবদ্ধ চিন্তা; সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজি...
নান্দনিক অনুভুতি ও কল্পনার সমন্বয়ে শিল্পের সৃষ্টি হয়। চলচ্চিত্র এ ক্ষেত্রে উচ্চতর যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি সহাবস্থান। শৈল্পিক সৃষ্টিতে, মানুষের আন্তরিক অনুভবে তীব্র অনুপ্রেরণাবোধ সৃষ্টি করে এই চলচ্চিত্র মাধ্যম বা সিনেমা। তবুও আজকাল এর অপব্যবহার শুধুমাত্র বিকৃত ও রুচিবিবর্জিতই নয় শিল্প মাধ্যমের দুঃখজনক বিফলতা। আর এটা আমাদের দেশের জন্য আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
চলচ্চিত্র মাধ্যম অন্য যে কোন মাধ্যমের চেয়ে অনেক বেশি মানুষের নিকট পৌছাতে পারে এবং চারপাশের বাস্তবতা, মানুষের মানবিক অনুভূতিগুলোকে জাগাতে পারে। এছাড়া সচেতন মানুষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে তাই চলচ্চিত্রের রুচিবোধকে যতটা উন্নত করা সম্ভব হবে শিল্পম্মুখ মানুষের নিকট ঠিক ততটাই গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে। আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে এর বিশাল সম্ভাবনাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে তুলে ধরে মার্জিত রুচির চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করা যায়। অবশ্য কোন কোন উদ্যোক্তা বা সংগঠন এ ব্যপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যেমন রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ'-এর কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হয়।
সিনেমার বাজারে বাংলা সিনেমার বর্তমান হালচাল প্রকাশের ক্ষেত্রে বোদ্ধা ও তুখোড় সমালোচক ছাড়াও নিতান্ত সাধারণ দর্শকদের নিকটও উদ্ভট ও ভাঁড়ামো ছাড়া আর কিছুই নয়। যা কিনা দর্শকদেরও অসুস্থ্ করে তুলছে। তবে আনন্দের সংবাদ এই যে, সুস্থ্য ও সৃজনশীল ধারার একটা গলিপথ আমাদের চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাকে আলোর পথ দেখাচ্ছে, তা স্বস্তিদায়ক। এই সুচিক্কণ গলিপথটিকে আমরা একদিন বৈশ্বয়িক পরিসরে দেখবার আশা করতে পারি, যদি ভাল ছবি তৈরী করার প্রচেষ্টা হাতে নেই।
তাই চলচ্চিত্রের দর্শকবৃন্দকে বলি সবাই মিলে দাবী তুলুন, ''সুস্থ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে'' তবেই নির্মাতারাও তা করবে।
আমিও তাঁদের বলি,''সুস্থ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।