আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
সড়কের মাঝখানে পড়ে আছে একপ্রস্থ গোলাপী শার্ট
চতুর্দিকে চিকচিক করছে হলদেটে রোদ,
কিছুদুর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা পুলিশের ব্যারিকেডের
উপর দিয়ে রাজার মতো সদর্ভে একটি কাঁক
উড়ে গিয়ে বসে শার্টটির পাশে।
আধুনিক সময়ের গোমড়ামুখো ক্লাউনগুলোর
আওয়াজে ভাঙ্গছে মধ্যাহ্নের নিস্তব্ধতা,
ডানে বামে ক্যামেরার শার্টারের ব্লিপ-ব্লিপ শব্দ;
কে বা কারা ঘটনাটি ঘটালো?
অযথা প্রশ্নাবলীর প্যাঁচালী এড়িয়ে
সবার সনির্বদ্ধ চোখ এখন গোলাপী শার্টটির দিকে।
এই মুহূর্তে এটি অস্বাভাবিক রকম জীবন্ত,
বেওয়ারিশ শরীরটাকে মর্গে ফেলে রেখে
অচিরেই হয়তো শোভা পাবে আগামীকালের
সংবাদপত্রে কিংবা আর্টগ্যালারীতে।
জায়গায় জায়গায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ,
ছেড়া বুক পকেট বোবা সংকেত ছড়িয়ে দেয় কাল্পনিক ইথারে।
অপ্রকৃতিগ্রস্থের মতো দাঁড়িয়ে থাকা কাঁকটি
কয়েকবার চোরা দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে
বৃত্তাকারে দাড়িয়ে থাকা দু'পেয়ে জীব;
কিছুক্ষন জিরোবার পর গোলাপী শার্টটিকে
পুনঃবার একা ফেলে উড়ে যায়।
রাস্তার কোনের চায়ের দোকানে
বসে থাকা একজন কবির খাতায়
জন্ম হয় একটি টাটকা কবিতার ।
বৃত্তের ওপাশের তর্কবিলাসী শেয়ালগুলোর টানা-হেঁচড়া
রা-রা চিৎকার ক্রমশ এগিয়ে আসে।
কিছুক্ষন পর ..........................
কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস,লাঠি চার্জ
বেড়ে মানুষের ছুটোছুটি, অদৃশ্য হয় ব্যারিকেড;
শুধু একা মধ্যাহ্নের নির্জণতা বুকে চেপে ধরে
পড়ে থাকে ধুলোমলিন গোলাপী শার্ট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।