Click This Link
সেই গণবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু রক্তাক্ত নভেম্বর নিয়ে আরো বলেছেন, কর্নেল তাহের জিয়া সম্পর্কে বলেছিলেন, এরা কেউটে সাপের মতো উচ্চাভিলাষী ক্ষমতালোভী অফিসার। ইনুর ভাষায় ৬ নভেম্বর রাতে মেজর জিয়াউদ্দিন ঢাকায় থাকলে খেলা ঘুরিয়ে দেয়া যেত। ২ নভেম্বর দিবাগত রাতে খালেদের লোকদের হাতে বন্দি হওয়ার সময় জিয়া কর্নেল তাহেরকে ফোন করে তার জীবন রক্ষার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। আর ৬ নভেম্বর মধ্যরাতের পর মুক্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ২৩ নভেম্বর জিয়ার নির্দেশে মেজর জলিল, রব, ইনুকে ও ২৪ তারিখ তাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইনু জানান, ৭৬ সালের জুলাইয়ে তাহেরসহ তাদের সামরিক আদালতে ট্রায়াল শুরু হলে জিয়া একদিন মিলিটারি ফরমেশন কমান্ডারদের বৈঠক ডাকলেন। বৈঠকে মতামত এলো জলিল, রব, ইউসুফ, মেজর জিয়া, ইনু ও তাহের বিপজ্জনক লোক। এদের ফাঁসিতে ঝুলানো যায়। কেউ বললেন, এরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা, অনেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভেতর জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছেন। এদের ফাঁসি দিলে প্রতিক্রিয়া ভালো হবে না।
একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত এলো কর্নেল তাহেরের ফাঁসি, জলিলের যাবজ্জীবন, বাকিদের ১২ বছর করে কারাদণ্ড। তাহেরের ফাঁসির সিদ্ধান্ত যখন চূড়ান্ত তখন একজন সেক্টর কমান্ডার জেনারেল মঞ্জুর দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ করলেন। বললেন এটা মানা যায় না। মুক্তিযুদ্ধে তাহের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পা হারিয়েছেন। তাকে ফাঁসি নয় জেল দাও।
সেনাশাসক জিয়া জবাবে শাউট করে বললেন, ‘হি মাস্ট ডাই’। জিয়া তাহেরের ফাঁসি চাননি বলে মীর শওকতের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি বলে ইনু মন্তব্য করেন। সন্তোষ থেকে মওলানা ভাসানী ফাঁসি রহিত করতে জিয়াকে টেলিগ্রাম করেন। অ্যামনেস্টি কল পাঠায়। কিন্তু জিয়া সব আবেদন নাকচ করে প্রমাণ করেন ১৫ আগস্ট যেভাবে মোশতাক সেভাবেই ৭ নভেম্বর তিনি ইতিহাসে তৃতীয় মীর জাফর হয়ে ঠাঁই নিয়েছেন।
ইনুর মতে, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ৭ নভেম্বর ১২ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সে রাতে তাহের ক্ষমতার খেলা খেলেননি বলে জিয়া-মোশতাকসহ অফিসাররা কচুকাটা হননি। তাদের উচিত তাহেরের কবরে ফুল দেয়া। সেদিন জাসদকে সইতে না পারা জেনারেল ওসমানী জিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ভূমিকা রাখেন। তাহেরের ফাঁসির প্রতিবাদ করলেন মঞ্জুর.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।