এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো...
বাস প্রেসক্লাব থামার পর একজন যাত্রি পেলো। বয়স্ক , শুভ্র দাড়িওয়ালা। দোতলা বাসের নিচতলা পুরোটৃই খালি , তবু তিনি আমার পাশে বসলেন। আয়েশ করে বসে ছিলাম, একা। কিছুটা বিরক্ত নিয়ে তাকালাম তাঁরদিকে।
বাস চলতে শুরু করতেই তিনি জানতে চাইলেন , কই যাইবেন বাবা? আমি বিআরটিএতে যাব। আবার মন চাইলে যে কোন যায়গায় নেমে যেতে পারি। আমি মুক্তিযোদ্ধা , আমার পাস আছে - বলেই তিনি পকেট থেকে পরিচয় পত্র বের করে দেখালেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার পাশে বসে আছি। আমার বুকের ভেতর শিহরন খেলে গেল।
তাঁকে ছঁয়ে দেখলাম , হাত মেলালাম। শুণলাম তার মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
বদিউজ্জামান । একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। চাঁপাই নবাব গঞ্জের মশুরিভূজাতে তাঁর বাড়ি।
তিনি ৭১র এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭ নম্বর সেক্টরে কর্নেল নুরুজ্জামানের অধীনে থেকে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর বীরত্ব গাঁথা মানুষের মুখে মুখে। দিনাজপুর জেলার বিরলার কাছে কাঞ্চন সেতুতে যুদ্ধরত অবস্থায় তিনি গুরুতর আহত হন। সে ব্যাথা তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন। যুদ্ধে তিনি শহীদ হতে পারেন নি , ব্যাপার টা খুব পোড়ায় তাঁকে!
২০০৪সালে মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের সাথে আমার পরিচয় হয়ে ছিলো।
এই গল্প সেই দিনের , আমি নেমে গিয়েছিলাম পরের ষ্টেশনে। আর দেখা হয়নি তাঁর সাথে । কখনো দেখা হবেনা। যেখানেই থাক , তিনি ভালেঅ থাক , এই দোয়াই করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।