কৃষিস¤প্রসারণ অধিদপ্তর কে তামাক চাষ বন্ধে দায়িত্ব নিতে হবে
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর স্মারকলিপি ও অবস্থান কর্মসূচী
খাদ্য সংকট নিরসনে তামাক চাষ বন্ধে কৃষি স¯প্রসারণ অধিদপ্তরকে কার্যকর পদপে গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা। তামাক কোম্পানির কারণে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেেিত খাদ্য সংকটের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে প্রায় ৭৪০০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ যখন ঠিক মতো খেতে পারে না। খাদ্য যোগান যেখানে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এমতাবস্থায় তামাকের আগ্রাসী বিস্তার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত করছে। তাই তামাক চাষ বন্ধে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর পদপে গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর উদ্যোগে আজ সকাল ১১টায় ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, তামাক চাষ বৃদ্ধির ফলে কৃষি জমি হ্রাসের পাশাপাশি গোখাদ্য সংকট, শিশু-কিশোরদের শিা কার্যক্রম ব্যহত, তামাকজনিত রোগ বৃদ্ধি, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের জন্য পার্বত্য এলাকার জমি ও নদীর তীর দখল হচ্ছে অত্র এলাকায় কৃষিজমি হ্রাসের প্রেেিত খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
বন উজার করে কাঠ কাটা হচ্ছে, তামাক শুকানো হচ্ছে। গাছ কাটার প্রেেিত পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এ ধরনের বিদেশী গাছ লাগাচ্ছে বনাঞ্চলে। বিদেশী গাছ আমাদের জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ।
বক্তারা আরও বলেন, ক্রমাগত তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়।
এজন্য তামাক কোম্পানিগুলো নতুন নতুন এলাকার কৃষি জমিতে দরিদ্র কৃষকদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। একটা সময় পর জমিগুলো যে কোন খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পাশাপাশি তামাক চাষের সময়কালটা এমন, তামাক চাষ করার কারণে সব মৌসুমের খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা দরকার। কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারগন তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে খাদ্য শস্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান করে তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত সংগঠন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা’র পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন একলাব এর নির্বাহী পরিচালক তারিকুল ইসলাম, , বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দপ্তর সম্পাদক এবং নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার নাজমূল হায়দার, পিস এর মহাসচিব ইফমা হোসেন, সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত সেতু’র নির্বাহী পরিচারক আবু রায়হান আল মাসুদ উবিনীগ এর গবেষক শাহীনুর রহমান, নাটাব এর জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম খলিল উল্ল্যাহ, ইনেসেটিভ ফর পিস এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আরিফুর রহামন, প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচী শেষে সুনির্দিষ্ট দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুর রহিম। দাবিতে জোটের কর্মীরা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিনে তামাক চাষ এর তিকর দিক ও তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণ. কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা এবং কৃষি নীতিমালায় কৃষি পণ্যের তালিকা থেকে তামাককে বাদ দেয়া, চলনবিল (পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ), মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চাষ অবিলম্বে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, তামাক চাষে সার, কীটনাশকসহ সকল ধরনের সুবিধা নিষিদ্ধ করা, তামাকের পরিবর্তে খাদ্য শস্য উৎপাদনে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং তামাক কোম্পানি কার্যক্রমে কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ না করতে নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানান।
এ সময় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরন ইত্যাদি েেত্র দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
কৃষি জমির উর্বরতা রা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ল্েয তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তাদের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস ব্যাক্ত করেন। কর্মসূচীতে জাতীয় অধূমপায়ী ফোরাম, মানবিক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পঞ্চহাত, সারডা, সিঙ্গীজানী মানব উন্নয়ন সংস্থা, হিতৈশী বাংলাদেশ, ইএফপি, স্রোতধারাসহ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।