আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন করার দাবি করেছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা


তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন করতে হবে তামাক বিরোধী নারী জোট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয় সভায় বিশেষজ্ঞদের অভিমত তামাক চাষের কারণে জনস্বাস্থ্য, পানি, পরিবেশ মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্রমাগত কযেক বছর জমিতে তামাক চাষ করার কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি। তামাক পাতা প্রক্রিযাজাতকরণের জন্য ক্রমাগত বৃ নিধনের কারণে দেশের বনজ সম্পদ ধবংশ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তামাক চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তামাক চাষের এলাকাগুলোতে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্কুলে উপস্থিতির হার কমে যায়। তামাক চাষের এতসব নেতিবাচক প্রভাব কমাতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তামাক বিরোধী নারী জোট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর যৌথ উদ্যোগে নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উবিনীগ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার। আলোচনা করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, টোব্যাকো ফ্রি কিড্স এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাইফুর রহমান, র‌্যাক এর নির্বাহী পরিচালক এটিএম শহিদুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন উবীনিগের পরিচালক এর সীমা দাস সীমু। সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, যে জমিতে তামাক চাষ হয়, সে জমিতে খাদ্য চাষ করলে দেশের বিদ্যমান খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই তামাক খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করে আইন উন্নয়ন করতে হবে।

তামাক চাষকে কৃষি নীতিমালার বাইরে রেখে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ এটি কোন কৃষি পণ্য নয়। আবু নাসের খান বলেন, তামাক চাষের কারণে পরিবেশ ব্যাপকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। তামাক পাতা চুল্লীতে পোড়ানোর জন্য যেভাবে পার্বত্য এলাকায় বৃনিধন চলছে, তা পার্বত্য এলাকার পরিবেশকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলছে। তাই পার্বত্য এলাকার পরিবেশ রার্থে সেখানে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে।

পাশাপাশি তামাক চাষের কারণে ইতোমধ্যে পরিবেশ এর যে তি হয়ে গেছে সেজন্য তামাক কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে তিপূরণ আদায় করতে হবে। সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক একটি সর্বগ্রাসী তিকর উপাদান। শুধু ধূমপান নয়, সাদা পাতা-গুলসহ চর্বনযোগ্য তামাকও মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাই এসব তামাককেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ল্েয কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাইফুর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সকলকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করে অতিসত্বর আইনটির উন্নয়ন করা দরকার। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় যা নিরোধ কর্মসূচী (নাটাব) এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী শাগুফতা সুলতানা, লেখিকা এবং আটোয়ার সদস্য সুফিয়া রহমান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, আড্ডার সদস্য আয়শা সিদ্দিকা বানু, বাঁচতে শিখ নারী’র সভাপতি ফিরোজা বেগম, এসিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম, সোয়ান এর নির্বাহী পরিচালক আলী কদর, শিক মনোয়ারা চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার নাজমূল হায়দার, এইড এর নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, সারডা, প্রত্যাশী, দিশা, দৃষ্টিদান, গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট, মানবিক, উন্নয়ন প্রচেষ্টা, পিএসএস, মহিলা উন্নয়ন সমিতি, একলাব, স্কোপ, মানবিক, জনঅধিকার ফাউন্ডেশন, এসডিবিকে, ইউপিটি, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টসহ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও তামাক বিরোধী নারী জোট এর সদস্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.