ঘটনাটি আমাদের গ্রামে ঘটেছে। তবে ঘটনার মূল নায়কের বাড়ি আমাদের পাশের গ্রামে। মেয়েটির বাড়ি ছেলেটির পাশের গ্রামে। ঘটনাটি সময়ের আলোচিত বিষয় ইভ টিজিং সংক্রান্ত। একটা দশম শ্রেনীর মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেছে আলমগীর নামের বখাটে ছেলে।
ঠিক তখনই আমাদের গ্রামের মহিলা বটি হাতে ছেলেটিকে কোঁপাতে যায়। তখনই আলমগীর পালিয়ে যায়। ঘটনা ঘটে মর্জিনা খাতুন নামের ঐ মহিলার বাড়ির সামনে। ঘটনার পর শারীরিক নির্যাতনের শিকার মেয়েটি ঘটনার পর পুরোপুরি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে। মেয়েটির পরিবারও অশিতি।
তারাও ঘটনার পরে কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা। পরে এক বেসরকারি সংস্থার এবং স্থানীয় সাংবাদিকের সহযোগিতায় ঘটনার ২ দিন পরে মামলা হয়। এখনও পুলিশ খুজছে তাকে।
চিন্তা করেছি এবার ঈদে গ্রামে গিয়ে ঐ মহিলা মানে মর্জিনা খাতুনকে একটা পুরষ্কার দিব। প্রতি বছর ঈদের ৩য় দিন আমাদের গ্রামে ‘ঈদ আনন্দ উৎসব’ নামে একটা অনুষ্ঠান করি।
চিন্তা করেছি ঐ অনুষ্ঠানে তাকে তার সাহসিকতার জন্য সš§ানিত ও পুরস্কার প্রদান করবো।
কিন্তু সমস্যা হলো, তাকে কি দেব সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। আপনাদের কারো কোন আইডিয়া থাকলে একটু দিয়েও তো...
মূল ঘটনা পড়ে নিন...
ইভ টিজিং-স্কুলছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
বগুড়ার ধুনটে মাঠপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছে এক বখাটে যুবক। ঘটনার পর লোকলজ্জা এবং ওই যুবকের ভয়ে গত তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ রেখেছে ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার ধুনট থানায় একটি মামলা করেছেন।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বখাটেপনার শিকার ওই ছাত্রী ধুনট উপজেলার ফকিরপাড়ার মেয়ে। সে মাঠপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিদ্যালয়ে সে যাতায়াত করত। গত সোমবার সকাল ৮টায় ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ে রওনা হয়। সে নয়াউলাপাড়া গ্রামের রাস্তায় পৌঁছার পর তারাকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২) তার পথ রোধ করে।
এরপর অশীল কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে আলমগীর ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে নয়া-উলাপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ছুটে আসেন। সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি দেখে তিনি বাড়ি থেকে একটি বঁটি এনে কোপাতে গেলে আলমগীর পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ঘটনার পর লোকলজ্জা এবং বখাটেদের ভয়ে ওই ছাত্রী আর বিদ্যালয়ে যায়নি।
ছাত্রীর বাবা জানান, প্রায় এক বছর ধরে আলমগীর তাঁর মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার অভিভাবককে অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি। বরং দিন দিন তার বখাটেপনার মাত্রা বেড়েছে। শেষে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেছি। যোগাযোগ করা হলে আলমগীরের বাবা আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'আমার করার কিছু নেই।
সে আমার অবাধ্য সন্তান। আমি চাই, আমার ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। ' ধুনট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াছিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৮ অক্টোবর ২০১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।