আগামীর স্বপ্নে বিভোর...
গান গেয়ে বা শোনে মানুষ আনন্দে পা দোলায়, মাথা ঝাঁকায়, কিংবা পুরোটা শরীর সংগীতের তালে তালে নাচায়। কারণ বিশ্বের বেশীর ভাগ মানুষ গানকে বিনোদনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। তেমনি সংগীতও তার বাইরে নয়। কিছু কিছু গায়ক আছেন যাঁরা সংগীতকে শুধু বিনোদনের অংশ হিসেবে দেখেননি বরং সংগীতকে জাগরণের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে মুঠো বন্দি করেছেন।
গান গেয়ে মানুষকে করেছেন একতাবদ্ধ, আর একতাবদ্ধ নিপীড়িত সেই মানুষগুলো শোষক আর যুদ্ধবাজ রাজার বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাজ পথে নেমেছে। আর এই সব কিছুর পেছনে যে সকল বীরোচিত গায়ক যুগে যুগে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়েছেন তাদের মধ্যে উজ্জ্বল একটি নাম "পিট সিগার"। পিট সিগার বিশ্বের যুদ্ধবাজ ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে একটি হাড় কাঁপানো সোচ্চার নাম। লোক সংগীতের প্রচন্ড অনুরাগী এক গায়ক ছিলেন পিট সিগার। গত বিংশ শতাব্দীতে সম্ভবত তাঁর সমতুল্য এমন কাউকে পাওয়া যাবেনা যিনি একাধারে আমেরিকার লোক সংগীতের সংরক্ষক, প্রচারক ও গায়ক।
শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা লোক সংগীতকে ধারন করেছে তিনি তাদেরও পাশে ছায়ার মতো ছিলেন। সংগীতকে অস্ত্ররূপে ব্যবহার করে আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লড়ে গেছেন আজীবন। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা ও রাজনীতি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার ইস্যূতে একটি সোচ্চার কন্ঠ হিসেবে তিনি পেয়েছেন নানা দেশের নানান বর্ণের অগনিত ভক্তের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। আজীবন তিনি লড়ে গেছেন অবিচারের বিরুদ্ধে। শাসক গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু তাকে ভীত করতে পারেনি।
মার্কিন মুল্লুকে তখন ছিলো ম্যাক কার্থির (McCarthy) শাসন, সেই উত্তাল ষাটের দশকে তাঁকে সরকার কালো তালিকা ভূক্ত করে। কারণ তাঁর প্রতি গণ মানুষের সশ্রদ্ধ ভালোবাসা ছিলো তখন তুঙ্গে। তিনি সমান ভাবে সমাদৃত ছিলেন সবার কাছে। তিনি সাধারণ মানুষের কথাই শুধু ভাবতেন না বরং তাদের জন্য বাসযোগ্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার ব্যাপারেও ছিলেন উদ্যোগী। পিট সিগার জীবদ্দশায় বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে লড়ে গেছেন অক্লান্ত ভাবে।
পরিবেশবাদ, জনসংখ্যাবৃদ্ধি এবং জাতিগত সমতা বিধানে তাঁর উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা ছিলো লক্ষণীয়। এসবের জন্য তিনি শুধু মার্কিন দেশেই নয় পেয়েছিলেন গোটা বিশ্ববাসী মানুষের শ্রদ্ধা। তাঁর এই মানবদরদী চিন্তা ভাবানার জন্য তিনি পেয়েছিলেন কিছু সমমনা বন্ধুর দেখা। তার মধ্যে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, উডি গাথরি এবং সিগার শ্যাভেজ উল্লেখযোগ্য। সমাজ সচেতন ও ঐতিহ্য সংরক্ষক এই মহান শিল্পীর জন্ম হয় ১৯১৯ সালের ৩রা মে নিউ ইয়র্কের প্যাটারসন নামক এক মফস্বল শহরে।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে পিট সিগার ছিলেন সবার ছোট। পিট এমন এক পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন যেখানে তিনি ছেলেবেলা থেকে একই সাথে পেয়েছিলে সুরের মূর্ছনা এবং রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনার উৎস। তাঁর মা কনসট্যান্ট এডসন সিগার ছিলেন একজন নিপুন বেহালা বাদক এবং বাবা চার্লস সিগার ছিলেন একজন সংগীতজ্ঞ এবং শান্তিবাদী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত এক বলিষ্ঠ কন্ঠ। এরূপ পারিবারিক পরিমন্ডলের কারনে শৈশবেই খেলতে খেলতে তাঁর বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে হাতেখড়ি হয়ে যায়। শৈশবে সংগীতের প্রতি তাঁর কোন ঝোঁক ছিলোনা।
যদিও পারিবারিক চাপ বা চর্চার কারণে তাঁকে দ্রুপদীর অনুশীলন করতে হতো রোজ রোজ। এইভাবে শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে তারুণ্যে পা রাখেন পিট সিগার। তিনি এসময় সাংবাদিকতা করলেও এ বিষয়ে আগের মতো উৎসাহ পাচ্ছিলেন না বলে তিনি খুঁজছিলেন মনের মতো কোন বিষয়। ১৯৩৬ সালের এক গ্রীষ্মে পিট ঘুরতে যা এ্যাশভিলেনের একটি লোকজ মেলায় আর সেখানেই তাঁর চোখ আটকে যায় একটি অন্যরকম বাদ্যযন্ত্রের উপর। তার ভাষায় "ঐ গ্রীষ্মে আমি এ্যাশভিলেনের লোকজ মেলায় গিয়েছিলাম, সেখানে হঠাৎ একটি বাদ্যযন্ত্রের সুর আমার কানে প্রবেশ করলে আমি খুঁজতে থাকি সুরটির উৎস।
আর দেখা মাত্রই আমি ভালোবেসে ফেলি সেই পুরনো ঢংয়ের ব্যানজুটিকে (Banjo)। আমাকে আরোও আকর্ষণ করে সেই সব লোক সংগীত যা ছিলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঘরে লালিত। সর্বোপুরি গানের কথাগুলো ছিলো খুবই আকর্ষণীয়। কারণ তা ছিলো সৎ ও সোজা সাপ্টা"। Banjo আর লোক সংগীতের প্রতি আকর্ষণ তাকে যেন নতুন দিনের খোঁজ এনে দেয়।
তিনি মনে কোন দ্বিধা না রেখে ফাইনাল পরীক্ষার দু'বছর বাকি থাকতেই হার্ভার্ড ছেড়ে দেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে তিনি হার্ভার্ড ছাড়ার পরপরই পেইন্টিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি নিউ ইংল্যান্ডে ওয়াটার কালারের উপর জ্ঞান লাভের জন্য এবং পরবর্তীতে তিনি একটি পাপেট দল গঠন করেন ও সেটি নিয়ে নিউ ইয়র্ক ভ্রমন করেন। সেসময় নিউ ইয়র্কে ডেইরী ফার্মার্স ইউনিয়নের ধর্মঘট চলছিলো। তারা তাদের দাবির সমর্থনের লক্ষ্যে একটি কনসার্ট ও র্যালির আয়োজন করে।
পিট সিগার সেই কনসার্ট ও র্যালিতে শামিল হন। এধরনের কনসার্টে এটি ছিলো তার প্রথম অংশগ্রহন। যা তাঁকে আকস্মিক ভাবে সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলনে আগ্রহী করে তোলে এবং এখান থেকেই তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়ের শুরু। লোক সংগীতের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে উৎসাহিত করে মূল খুঁজতে। তিনি এ উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশ ভ্রমণ করেন এবং সংগীত সংগ্রহ করেন।
এ কাজে তিনি সঙ্গে পেয়েছিলেন সংগীতজ্ঞ এ্যালান লোমেক্স- (Alan Lomex) কে। এই ভ্রমণকালে তিনি প্রচুর গান, লুলাবাই, লোক গান এবং ব্যালাড সংগ্রহ করেন। অভিবাসী শ্রমিকদের এক বেনিফিট কনসার্টে এ্যালান লোমেক্স (Alan Lomex) পিট সিগারকে পরিচিত করান আরেক বিখ্যাত ফোক গায়ক (Folk Singer) উডি গাথরি (Woddy Guthrie) এর সাথে। ১৯৪১ সালে পিট সিগার আর উডির উদ্যেগে গঠিত হয় Almane Singers নামে একটি গোষ্ঠি। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো সংগীতের মাধ্যমে সামাজিক অবিচার রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
সমসাময়িক সামাজিক বা রাজনৈতিক ইস্যূতে তাদের বক্তব্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে তারা লোক সুরের আদলে বক্তব্য সমৃদ্ধ লিরিক দিয়ে চমৎকার সব গান সৃষ্টি করেন। প্রথমদিকে তাদের "The Talking Union Blues" নামক শ্রম সংগীত মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এছাড়া "The Balled of October 16" শিরোনামে একটি শান্তিবাদী গান রচনা করেন। যা তাদেরকে সেই সময় "ফ্যাসিজম" এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগায়। এরই মধ্যে পিট, লোমেক্স ও রিঙহাম (Wringham) প্রাচীন ও প্রচলিত লোক সংগীত সংরক্ষণের উদ্যেগ গ্রহণ করেন।
তাঁরা People's Music Library নামে একটি আর্কাইভ চালু করে বিভিন্ন ইউনিয়নের গান এবং লোক গান সংগ্রহ করে সেখানে জমা করতে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী পিটকে ১৯৪২ সালে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে হয়। সেখানে তিনি নতুন উদ্যমে Soldier Song সংগ্রহ করতে শুরু করেন এবং সংগৃহীত গানগুলি People's Music Library তে নিয়মিত পাঠাতে থাকেন। তারা পরবর্তীতে Sign Out নামে একটি ফোক ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। সেখানে ফোক সংগীতকে ব্যবহার করা হয়েছিলো সমাজের নানা অসংগতির সমালোচক যন্ত্র তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির সহায়ক হাতিয়ার রূপে।
ম্যাগাজিনটি এখনো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। The Almane Singers বেশী দিন টেকেনি। ব্যান্ডটি ভেঙ্গে গেলে পিট সিগার ১৯৪৮ সালে "লি হায়জ" (Lee Hays) কে সঙ্গে নিয়ে "The Weavers" নামক একটি ব্যান্ড গঠন করেন। অন্যরকম গায়কী ও সুরের সাথে পিট এর রাজনৈতিক আদর্শের মিশেলে The Weavers সৃষ্টি করতে থাকে অনবদ্য সব সংগীতের। সেসব ছিলো তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার প্রতি একেকটি চপোটাঘাত স্বরূপ।
তাদের বক্তব্যপূর্ণ গান শাসক গোষ্ঠির গাত্র দাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। "Kisses sweater then wine", "Good night Irene" এবং "On top of old smooky" তাদের উল্লেখযোগ্য গান। তাদের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে, সেই সময় Weavers এর উপর নেমে আসে সরকারের খড়গ। পিটের বামপন্থী মনোভাব এবং সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করার জন্য তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। সরকার তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং তাদের ব্যান্ডের ভেতর ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয় এমনকি তাদের পূর্ব নির্ধারিত অনেক কনসার্টই অনুমোদন না করে শেষ মূহুর্তে বাতিল করে দেয়।
এ কারণে ১৯৫৫ সালে আমেরিকা বিরোধী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষক সমিতির সামনে তাদেরকে উপস্থিত হতে হয়। তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তাকে ১৭ বছর কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়। কিন্তু যে সিগারের দেহে অন্যায়ের বিরুদ্ধের রুখে দাঁড়ানোর শক্তি পুঞ্জিত হয় ক্রমে ক্রমে তিনি কি চুপসে যেতে পারেন ? পারেন নি বলেই ত পরের বছর সিগার রচনা করেন বিখ্যাত "Where have all the flowers gone" গানটি। এই গানটির জন্য সিগার, আর্থার মিলার সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। ১৯৬১ সালে তাকে আদালত অবমাননার দায়ে ১০ বছরের কারাভোগের শাস্তি প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে যথোপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে মামলা বাতিল হলে তিনি কারা মুক্ত হন। সিগার ১৯৫০ সালে ফোক সংগীতের পুনঃ প্রবর্তনের কাজ শুরু করেন যা ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ সালের দিকে পূর্ণতা পায়। এসময় ABC TV সিগারের এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে মুনাফা লাভ করতে চাইলে তাদের সে আশায় গুঁড়ে বালি পড়ে যখন তাঁরা জানতে পারে পিট সিগার কালো তালিকাভুক্ত। অবশেষে সিগার ১৯৫৮ সালে The Weavers ত্যাগ করেন এবং একক ভাবে গাইতে শুরু করেন। তিনি সেই সময় গান করতেন বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে বা কফি হাউজে।
সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকাটাই তাঁর মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো। ষাটের দশকে তার বেশীর ভাগ সময় ব্যয় হতো সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। এই সময় তিনি দক্ষিণ আমেরিকায় মার্চ করেন। তিনি একটি প্রাচীন আধ্যাত্মিক গানকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করেন। গানটি ছিলো "We shall over come" যা পরবর্তীতে সারা বিশ্বের সাম্যবাদী মানুষের গান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯৬২ সালে Turn Turn গানটি তরুণদের উদ্দেশ্যে রচনা করেন। পুরো ষাটের দশক জুড়ে তিনি অক্লান্তভাবে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূতে সমাবেশ করেছেন। নিউপোর্টে বিভিন্ন লোকজ বিশুদ্ধতার প্রতি তিনি বারবার সোচ্চার ছিলেন। তিনি ফোকের সাথে রকের সংমিশ্রণ বা ফিউশন বিরোধী ছিলেন। মানব দরদী এই মহান গায়ক বরাবরই যুদ্ধ বিরোধী ছিলেন।
ষাটের দশকে ম্যাক কার্থির পররাষ্ট্রনীতি এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে প্রকশ্যে কঠোর সমালোচনা করেন। "The smothers brothers comedy hour" নামক একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জনসনের সমরনীতির তীব্র নিন্দা ও কঠোর সমালোচনা করেন Waist deep in the big muddy গানটির মাধ্যমে। প্রথম দফায় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ গানটি সেন্সর করলেও পরবর্তীতে একই অনুষ্ঠানে কোন রকম বাঁধা ছাড়াই সম্পূর্ণ গানটি পরিবেশন করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনে সে সময় তাঁর সাথে Joan Baez এর মতো তরুণ ফোক শিল্পীরাও যোগ দেয়। শুধু রাজনৈতিক নয় পরিবেশবাদী হিসেবেও তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যূতে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন।
৭০ এর দশকে হাডসন নদী রক্ষা কর্মসূচীতে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। সেই সময় নদীতে শিল্প কল-কারখানার বর্জ্য ফেলাতে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছিলো। ১৯৬৯ সালে পরিবেশ রক্ষায় Clear water organization নামে একটি সংগঠন তৈরী করেন। সেটি একসময় পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি ও ফান্ড তৈরীতে সার্বিক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছিলো। এই Clear water organization এর উদ্দেশ্য ছিলো নদী সংরক্ষণ এবং এই বিষয়ক বিভিন্ন উন্নতি সাধন করা।
১৯৫৪ সালে পিট সিগার অর্জন করেন "প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ আর্টস" এবং কেনেডি সেন্টার অ্যাওয়ার্ড; তিনি ১৯৯৬ সালে ব্লক ডেপেলাপমেন্টে ভূমিকা রাখার জন্য রক এন্ড রোল এর "হল অফ ফেম" নির্বাচিত হন। একই বছরের এপ্রিল মাসে তিনি হার্ভার্ড আর্টস মেডেল অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে "Best traditional folk music album" বিভাগে Grammy Award অর্জন করেন। কিছু কিছু মহান ব্যক্তি আছেন যাদেরকে অল্পে প্রকাশ করা যায়না। পিট সিগার তাদের একজন।
তবুও আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি পিট সিগারের কর্মের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরার। জানিনা তাতে কতটা সফল হয়েছি। ভবিষ্যতে পিট সিগারকে নিয়ে আরো বিস্থারিত লেখার ইচ্ছা আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।