আগামী প্রজন্মের জন্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।
গত শনিবার মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার' মহাসচিব আদিলুর রহমানকে তার বাসার সামনে থেকে ৫৪ ধারায় (সন্দেহ ভাজন হিসেবে) ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরদিন তার নামে মামলা করা হয় তথ্য প্রযুক্তি আইনে যেখানে অভিযোগ হয়েছে তিনি তথ্য বিকৃতি করেছেন।
ঘটনার শুরু "অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট" নামে পরিচালিত ৬মের গনহত্যা নিয়ে গত ১০ জুন ২০১৩ তার পরিচালিত সংস্থা অধিকার একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশের পর। অধিকার ঐ রিপোর্টে বলা হয় শাপলা চত্তরের ঐ অভিজানে মোট ২০২ জন মারা যায় (হেফাজত ইসলামের দাবী মতে), এর মধ্যে ৬১ জনের পরিচয় ও নাম ঠিকানার খোজ পায় বলে অধিকার প্রতিবেদনে জানানো হয় এবং প্রায় ২৫০০ লোক নিখোজ।
এর প্রেক্ষিতে ১০ জুলাই অধিকারের কাছে নিহতদের লিস্ট চেয়ে তথ্য মন্ত্রনালয় চিঠি পাঠায়।
জবাবে অধিকার জানায়, অবশ্যই অধিকার এসব তথ্য দিতে সম্মত আছে। তবে ভিকটিম ও সাক্ষীর নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশে না থাকায় সরকারকে তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আর এগুলো নিশ্চিত করলে অধিকার সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।
অধিকার’র শর্ত তিনটি বিষয় হলো;
১. নিহতদের তালিকা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যেসব মানবাধিকার সংগঠন কাজ করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা।
২. তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের জন্য সুরক্ষার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩. এই তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে না সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া।
তথ্যমন্ত্রনালয় 'অধিকার'এর চিঠির জবাব না দিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ১০ আগস্ট। ১১ তারিখ পুলিশ তার বিরোদ্ধে আজগুবি তথ্য বিকৃতি অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পুরো ঘটনা ক্রমে বুঝাই যাচ্ছে আসলে কারা তথ্য বিকৃতি বা গোপন করতে চাচ্ছে।
উল্লেখ্য শাপলা অভিযানের কয়েকদিন আগে বন্ধ করে দেয়া হয় জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশ। অভিযানের রাতে বন্ধ করে দেয়া হয় দুটি টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি। এবার দেশের শীর্ষ ও নির্ভরযোগ্য মানবাধিকার প্রতিষ্টান 'অধিকার' বন্ধ করে দেয়া চেষ্টা চলছে।
আদিলুর রহমানের উপর হামলা মানে দেশ ও বিশ্ব মানবতার উপর হামলা। এ ফ্যাসিবাদের বিরোধ্যে আমরা যা করতে পারি:
১. ফেসবুক বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে আমাদের অনুরোধ এ বর্বরোচিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে কি বোর্ডে ঝড় তুলুন।
২. আদিলুর রহমানের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আপনার কাভার ফটো ও প্রোফাইল পিকচারে আদিলুর রহমানের মুক্তির দাবী সম্ভলিত পিকচার সংযোজন করুন।
৩. প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে আদিলুর রহমানের মুক্তির জন্যে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে ই-মেইল করুন।
৪. আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আদিলুর রহমানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করুন।
দাবী একটাই আদিলুর রহমানের মুক্তি চাই। মানবতার মুক্তি চাই।
আদিলুর রহমানের মুক্তির দাবীতে আমরা যা করতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।