নীল নদবিধৌত মিসরীয় পর্যটন শহর আসওয়ান। হেনরি কিসিঞ্জারের মধ্যপ্রাচ্য ‘দৌড়ঝাঁপ কূটনীতি’র অন্যতম লীলাভূমি আনোয়ার সাদতের মিসর। পঁচাত্তরের ২০ মার্চ। এই কূটনীতির কারণেই কিসিঞ্জার এদিন আসওয়ানে উপস্থিত ছিলেন। মরুঝড় নৈমিত্তিক, একদিন কিসিঞ্জার দলের গাড়িবহরও তাতে এমনভাবেই পড়েছিল যে তা থেকে উদ্ধারে মিসরীয় হেলিকপ্টার তলবের চিন্তা করতে হয়েছিল।
আর ঢাকার বাতাস তখন মার্কিন নথি অনুযায়ী মুজিব উৎখাতের ‘গুজবে’ ভারী হয়ে উঠেছে। ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসওয়ান সফর করেছিলেন। কিসিঞ্জারও তখন মিসরে। তাঁদের মধ্যে তখন অবশ্য সাক্ষাৎ ঘটেনি। কিন্তু এটা একটা কৌতূহলোদ্দীপক কাকতালীয় ঘটনা যে মিসরীয় নেতা সাদতের শুভেচ্ছা হিসেবে দেওয়া ট্যাংক ব্যবহার করে মেজর সৈয়দ ফারুক রহমানের অভ্যুত্থান সংঘটনের ১৪৪ দিন আগে আসওয়ানে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা নিয়ে সাদত-কিসিঞ্জারের নির্ধারিত বৈঠককালে সেখানে একটি বার্তা পৌঁছায় বলে প্রতীয়মান হয়।
ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রস্তুত করা ওই ‘সিক্রেট’ নথির শিরোনাম: ‘বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের গুজব’। মার্কিন মহাফেজখানার ভাষ্য হচ্ছে, মাইক্রোফিল্মে থাকা এই নথির মূল পাঠ্য ‘উদ্ধার করা সম্ভব নয়’। এর পরের চার দিনে ওয়াশিংটন, ঢাকা ও দিল্লির মার্কিন দূতাবাসে মুজিবের ‘সরকার উৎখাত’ বিষয়ে আরও চারটি পৃথক নথি তৈরি এবং তাদের মধ্যে তা চালাচালি হয়। এই পাঁচটি নথিরই শিরোনাম এবং তার বিষয়বস্তু-সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে। কিন্তু এগুলোর মূল পাঠ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
তবে সন্দেহাতীতভাবে এসব নথিতে মুজিব সরকার উৎখাত-সংক্রান্ত আলোচনা ছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।