টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতি ও সার্ভিস রুলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন সরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরে যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গুলশানে টেলিটকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
টেলিটকের সহকারী ব্যবস্থাপক (সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার) আবু রায়হান কাওসার প্রথম আলোকে বলেন, কোম্পানি যাত্রা শুরুর পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো ‘সার্ভিস রুল’ হয়নি। সে সময় টেলিটকের বোর্ডে পাস হওয়া সাময়িক বেতন কাঠামো অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
কিন্তু বর্তমানে বেতন-ভাতা পরিশোধের ক্ষেত্রে সেই কাঠামোও মানা হয় না। ফলে ছুটি, পদোন্নতি বা অন্যান্য সুবিধা থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া ‘যাকে যেমন ইচ্ছা তেমন বেতন’ দেওয়া হয় বলেও প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভে অবস্থানরত ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা।
বিক্ষোভরতদের অভিযোগ, ‘২০০৫ থেকে এ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লেও টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এতটুকু বাড়েনি। ’
জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
পরে গত আগস্টে দাবি আদায়ের স্বার্থে আবু রায়হান কাওসারকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় ‘টেলিটক কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর এ সংগঠনের ব্যানারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর লিখিত ওই স্মারকলিপিতে টেলিটকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সই করেছিলেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে টেলিটক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান বলেন, ‘টেলিটক কর্তৃপক্ষও বেতন কাঠামোর পরিবর্তন চাইছে। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি দেখছে।
’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।