যত দিন যাচ্ছে জীবন এর মানে টাই বুঝতে কষ্ট হচ্ছে । মাঝে মাঝে ভাবি আমি কে , কোথা হতে এসেছি যাবো কোথায় । কাদের জন্য চলি কার জন্য করি কার জন্য মরি । তখন তাল গোল পাকিয়ে ফেলি , আর তখুনি তৈরি হয় তেল ছারা বিশুদ্ধ খিচুরি । যা একবার দেখলে ২য় বার দেখতে ইচ্ছা করেনা ।
কিন্তু জিবনের বাকে ওই খিচুরি বার বার ফিরে আসে অখাদ্য হয়ে । অযথা কিছুখন সময় পার পরে দেখি ফলাফল শুন্য ।
প্রতিদিন ব্লগে পড়ি , খবর এর কাগজ পরি , খালি দেখি হত্যা খুন মারামারি , নেত্রি দ্বয় এর চুলা চুলি , কার থেকে কে বেশি নিবে কার থেকে কে শোষন করবে । কোন নেতা কাজের মেয়ে কে নিয়ে থাকে কোন নেতা ফেন্সিডিল খায় । এই হল আমাদের জাতির বিবেক দের লেখা , জাতির মেরুদন্ড দের নিয়ে ।
আমরা অপান্তেয় পাব্লিক পড়ি আর আফসোস করি যার যার দলের পখ্য নিয়ে । যখন পরি তখন শালার নেতা দের জঘন্য মনে হয় আর যখন লেখি তখন নেতাদের দুধে ধোয়া ( টাকিলা দিয়ে ধোয়াও বলতে পারেন ) পবিত্র মনে হয় । আমরা তাদের কে যে কোন আসনে রাখি তা আমরা নিজেও জানি না , হয় তো এদের কে নিয়ে যে শিরক ও করে ফেলি কিনা মনের অজান্তে তাও খেয়াল রাখি না ( আল্লাহ মাফ করুক ) নিজ দলের পক্ষ নিতে গিয়ে অন্ধ হয়ে যাই । ভালো মন্দ বিচার লোপ পায় । ধরুন মানুষ যদি কলেরায় মরে , সেখানে বিরোধি দলের চক্রান্ত খুজি ।
আর বিরধি দল খুজে সরকারি দলের চক্রান্ত । তখন মনে হয় ঐ নেতা দের থেকে কলেরা ভাল সে কোন দল বুঝেনা তার যা কর্ম সে করছে যা নেতা রা করেনা ।
একবার ভাবি রাজনিতি ছেরে কি যে ভুল করেছি , করলে ভালো হত রাজনিতি করতে কোন ইনভেস্ট লাগেনা , খালি বিরোধি দলের আর সরকারি দলের যে যার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেই নেতা হওয়া যায় । শিক্ষা দিখ্যা তো লাগেই না । আর ভদ্র লোক তো হওয়া যাবেই না যাকে যা খুসি বলা যাবে বাহ কত সুবিধা ।
আর মন্ত্রি হওয়া তো আরো সোজা , বিরোধি দলে থাকা অবস্থায় খালি পুলিশ এর বারি খেয়ে রক্ত বের হলেই মন্ত্রি হওয়া যায় । চাকরি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার মুল্য থাক্লেও মন্ত্রি হওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অভিজ্ঞতা বিরোধি দলে থাকাকালিন পুলিশ এর বারি । রক্ত না হলে বট তলার উকিল । তখন ভাবি না থাক আমার আবার সাহস কম পুলিশ এর বারি খেতে পারবো না ভয় লাগে পুলিশ কে । তবে আফসোস হয় আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন যদি ছাত্রলিগ এর এতো ক্ষমতা থাকতো তাহলে নিচ্চিত আমি ছাত্র লিগ করতাম অন্তুত একটা প্রেম করার জন্য ।
ছাত্র লিগ নেতাদের অনেক ক্ষমতা কেও প্রেম করতে না চাইলেও তাদের ক্ষমতা বলে প্রেম নাকি হয়ে যায় সেই তাবিজ বাবাদের মত এক অর্থে তাবিজ বাবা ও বলা যায় তবে ছাত্র দল কে কি বলবো ভেবে পাই না ওরা এও না ও না ওরা ছাত্র লিগ এর মত পারেনা । সকালে খবর এর কাগজ খুল্লেই দেখি ইভটীজিং এর খবর ।
এই যে পুলাপান অযথাই ইভটিজিং করে , কেনো রে বাবা তোদের ইভটিজিং করতে হবে কেনো তোরা তাবিজ বাবাতে যোগ দে তোদের প্রেম এম্নিতেই হয়ে যাবে । আর শেষে যদি কাজ না হয় তাহলে মেয়েদের বেশি বেশি হিন্দি চেনেল দেখার জন্য বাংলা দেশের চেনেল গুলা কেটে দে তোদের প্রেম নিচ্চিত । শুধু মেয়ে না মেয়ের মা সহ প্রেম করবে হিন্দি চেনেল এর ফকিরান্তি তে ।
ভেবে ক্লান্ত হয়ে যাই , যখন সনবিত ফিরে আসে তখন ইভটিজিং নিয়ে সত্যি ভাবতে ইচ্ছা করে , কেন্সার এর মত সঙ্ক্রমিত হচ্ছে চারদিকে । এখানে অন্তত দল বল নির্বিশেষে সবাই কে ভাবতে হবে কিভাবে দূর করা যায় এই সঙ্ক্রমন । কোথায় আমাদের ত্রুটী । ভেবে বের করতে হবে , চিরতরে উপ্রে ফেলতে হবে আমাদের সমাজ থেকে এই সঙ্ক্রমন কে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।