নিজের ছাঁয়ার কাছ থেকে পালিয়ে থাকার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় আছি।
আমার বাড়ি রাজশাহী । পদ্মার পাড়ে বসে সূযার্স্ত দেখা এক রকম ওভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে । তেমনি আজ পদ্মার পাড়ে বিকালে বসে ছিলাম । একটি ছোটো ছেলে বাদাম বিক্রি করছিলো ।
আমাকে জিজ্ঞাস করলো বাদাম নিবো কিনা । না বলে বিদায় করে দিলাম। তখন বাদাম খাবার মুড এ ছিলাম না। । এর কিছুক্ষণ পরে দেখলাম একজন মহিলা ওই ছেলের সাথে কথা বলছে ।
তদের কথা শুনে বুঝলাম তারা মা সন্তান । মা তার কাছ থেকে যে পরিমান বাদাম বিক্রি হয়েছে তার টাকা নিলো। অতোপর তাদের মাঝে যে কথা হলো তা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম । মা ছেলে কে বলছে “পূরিয়া কয়টা বিক্রি হয়েছে” !!! ছেলে আজ নাকি একটাও পূরিয়া বিক্রি করতে পারেনি। (এক প্রকার মাদক এর ছোটো ছোটো প্যকেট কে পূরিয়া বলে)।
মা তাকে কয়েকটা বকা দিলো । অতোঃপর তাকে বললো “বাম পকেট এ পূরিয়া গুলো থাকলো” ।
ছেলেটির বয়স খুব বেশি হলে ৭-৮ হবে।
খুব খারাপ লাগলো। অসছ্বল পরিবার।
টাকার জন্য বাদাম বিক্রি করছে। এই টুকু মানা যায়। কিন্তু টাকার জন্য মাদক বিক্রি করতে বাদ্ধ হচ্ছে,এবং তার মা তাকে এই কাজে সাহায্য করছে। শুধু সাহায্য না রিতিমতো বাধ্য করছে। মানতে পারলাম না।
বিবেকে বাধলো।
এই কি আমাদের সমাজ। এই কি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম।
রাজশাহীতে কোনো কোনো স্থানে মাদক এতই সহজলভ্য হয়ে গেছে যে অনেক সাধারন ছেলেরা শুধু ওভিজ্ঞতা নেবার জন্য মাদক গ্রহন করে পরে তা আর ছাড়তে পারেনা। নদীর ধারে আমাদের পুলিশ গুলো এই ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে ... অবস্থা খুবই খারাপ।
। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের অবকাশ সময় পার করতে যে নদীর পাড়ে যাওয়া তা বন্ধ হতে বেশি সময় লাগবেনা !!! !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।