http://www.facebook.com/Kobitar.Khata
জনাব আবেদ খান, বাংলাদেশে সাহসী সাংবাদিকতা যারা করতেন তাদের মধ্যে আপনাকে অন্যতম মনে করতাম। আপনার লেখা পছন্দ করতাম। আপনাকে শ্রদ্ধা করতাম। আপনি বিভিন্ন সময় দেশ সেরা কিছু পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। যার মধ্যে যুগান্তর, ভোরের কাগজ অন্যতম।
এরপর আপনার কি থেকে কি হয়ে গেল বসুন্ধরা গ্রুপের মুখপাত্র, পুঁজিবাদি ও ভূমিদস্যুর কণ্ঠস্বর দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসবে যোগ দিলেন। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম আবেদ খান যেহেতু কালেরকণ্ঠের সম্পাদক হচ্ছেন সেহেতু আশা করা যায় পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা নিশ্চয় কিছু না কিছু বজায় রাখতে পারবে। কিন্তু বিধিবাম, আমরা হতবাক হয়ে দিনের পর দিন দেখলাম আবেদ খান নামক কলম সৈনিকটি বসুন্ধরা গ্রুপের একজন কেনা গোলাম হয়ে গেল। বসুন্ধরার গ্রুপের কন্ঠের সাথে আবেদ খানের কন্ঠের কোন আমিল খুঁজে পেলাম না। টাকার কাছে সারাজীবনের নীতিবোধ বিক্রি করে দিলেন।
কালেরকণ্ঠের জন্মই হয়েছিল প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য। প্রথম আলোর দোষ হলো সরকারের সাথে সমঝোতা করে বসুন্ধরার পার পেড়ে যাওয়ার কথা ফাঁস করে দিয়েছিল। আর এই কারণে প্রথম আলোকে শায়েস্তা করার জন্য পত্রিকাটির জন্ম। আর জন্ম থেকেই তারা নানান রকম কল্পকাহিনী প্রকাশ করে যাচ্ছে। প্রথম আলো সম্পাদক নাকি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত।
এই আজব ঘটনাটি কেউ কোনদিন চিন্তা করেনি এবং বাংলাদেশের অন্যকোন পত্রিকা বা মিডিয়াতেও আসেনি। শুধুমাত্র বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালেরকণ্ঠ ছাড়া। প্রথম আলে এই খবরগুলো দিনের পর দিন সহ্য করে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রেস কাউন্সিলে মামলা করতে বাধ্য হয়েছে। প্রেস কাউন্সিলের নোটিশে পত্রিকার দুটির সম্পদক ও প্রকাশককে আগামী ১৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় প্রেস কাউন্সিলের বিচার কমিটির সামনে হাজির হয়ে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এবার কি হবে জানব আবেদ খান?
আপনি তো অনেক আগেই পচে গলে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে গেলেন। এবার যদি আপনি এই মামলায় হেরে যান তবে আপনার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।