আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতের ৬৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। আজ দেশটির ৬৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনার হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনা হামলার মোকাবিলা করতে সব রকম ব্যবস্থা নেবে ভারত। তার মতে, সীমান্তে হামলা বন্ধ না হলে দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে না। যদিও প্রতিবেশি সব দেশগুলির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরই জোর দেন তিনি।

লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শক্তপোক্ত কেন্দ্রে একটি স্থিতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের ব্যাপারেও জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এখানে সাম্প্রদায়িক কোনো শক্তির জায়গা নেই, তাই সাম্প্রদায়িকতাকে যে কোনো শক্তি দিয়ে রুখতে হবে।

এদিন সকালেই লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেখানে 'গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি কুচকাওয়াজেও অংশগ্রহণ করে। স্বাধীনতা দিবস কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ঐতিহাসিক লালকেল্লা।

আকাশ পথেও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

লালকেল্লায় প্রায় ৩৫ মিনিট ভাষন দিতে গিয়ে ইউপিএ সরকারের গত নয় বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন অতি শীঘ্রই সংসদে খাদ্য সুরক্ষা বিল পাশ করা হবে। এর বিলের সাহায্যে কৃষক তার সঠিক মূল্য পাবেন, এতে লাভবান হবে ৮১ কোটি মরনুষ। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারে ইউডিপএ টু সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান।

  তিনি বলেন বিশ্ব জুড়েই আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে, তবে ভারত দ্রুত এর ধাক্কা সামলে উঠবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উত্তারাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে সেনা জওয়ানরা যেভাবে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন তা প্রশংশনীয়।

অপরদিকে, সারাদেশের মতো স্বাধীনতা দিবসে পশ্চিমবঙ্গ জুড়েও অতর্কিত যে কোনো হামলা রুখতে সর্বত্র কড়া সতর্কতা ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কলকাতার রেডরোডে এক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। সেখানে রাজ্য ও কলাকাতা পুলিশের বিভিন্ন আরক্ষ বাহনীর কাছ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই অনুষ্ঠানে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি মুখ্যসচিব, কলকাতা পুলিশের নগরপাল সুরজিত কর পুরকায়স্থসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সকালে ব্যারাকপুরে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামাঙ্কিত 'গান্ধীঘাটে' স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্যের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ। এদিন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে পালিত হয়েছে দিনটি। বহু জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।  



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.