আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহলে কি ইভটিজারদের স্বর্গ রাজ্য হবে এটা?

দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে অবশেষে গতকাল মারা গেলেন নাটোরের ইভটিজিং এর প্রতিবাদী কলেজ শিক্ষক মিজনুর রহমান। ইভটিজিং একটি পুরাতন বিষয়। কিন্তু এটা এখন নতুন শব্দে বহুল আলোচিত বিষয়। শিক্ষক মিজানুর রহমান মারা যাওয়ায় সারা দেশ আজ স্তম্ভিত ও শোকাহত। আজ তার জানাযায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।

গতকাল ঢাবিতে মানব বন্ধন করছে। আমরা কয়জন পারি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে? কয়জন প্রতিবাদ করতে পারি যখন আমার বোন বা মেয়ে ইভটিজিং এর স্বীকার হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুপ করে মাথা পেতে নেই লজ্জায় ও ইভটিজারদের ভয়ে। শিক্ষক মিজানুর রহমান এখন ইভটিজিং এর প্রতিবাদের মডেল। কিন্তু তাকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি।

কেন পারিনি? যেখানে আমরা সবাই ইভটিজারদের বিরুদ্ধে সচ্চার। ইভটিজিং এর জন্য যেখানে আইন করা হয়েছে। যখন এমপি-মন্ত্রী এমনকি প্রশাসনও এই ব্যাপারে ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে কেন মারা যায় একজন ইভটিজিং প্রতিবাদী শিক্ষক। আমাদের দায়বদ্ধতা ছিলো ইভটিজিং রোধ করা, একজন প্রতিবাদী শিক্ষককে রক্ষা করা।

কিন্তু কোনটাই পারিনি। আমরা যখন কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করি তখন দেখাযায় সমাজের অধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে ক্ষমতাশীল ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা সেই অপরাধীদের রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে যান। কেন এমন হয় জানিনা। হয়তো বা টাকার জোরে। নতুবা তাদের বিভিন্ন সময় কাজে লাগবে বলে তাদের হেফাজত করেন।

প্রশাসনের ব্যাক্তিরাও টাকার কাছে ভুলে যান তাদের দায়িত্ববোধের কথা। আইনের মারপ্যাচে পার পেয়ে যায় এই সকল মানুষ রুপী জানোয়াররা। অনেক সময় হুমকি-ধামকি ও হামলার স্বীকার হন বিচার প্রার্থীরা। এগুলো আমাদের সীমাবদ্ধতা জানি। কিন্তু আমরা কি এই সীমাবদ্ধতার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের দায় এড়াতে পারি? পারি না? কিছুই কি করার নেই? তাহলে কি ইভটিজারদের স্বর্গ রাজ্য হবে এটা?
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.