ওরা একটি সিনেমা বানাবে। হাজার বছর ধরে একটি সিনেমাই বানাবে। পৃথিবীর সবকিছুই হয়ত বদলে যাবে, কিন্তু তাদের সিনেমা বানানো বন্ধ হয়ে থাকবে না। ‘আমরা একটি সিনেমা বানাবো’ একটি সংগঠন এবং সম্পূর্ণ সাদাকালোয় একটি রঙ্গিন স্বপ্নের চলচ্চিত্র। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা, চেতনা, প্রেম ও প্রেরণায় তৈরি হচ্ছে এমনই একটি চলচ্চিত্র।
এই ছবির কোন কিছুই কাল্পনিক নয়। তরুণ নির্মাতা আশরাফ শিশির তৈরি করছেন তার স্বপ্নের চলচ্চিত্র ‘আমরা একটি সিনেমা বানাবো’। ছবিটির গল্প ও নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কথা বলেছেন গ্লিটজের সঙ্গে। সে আলাপচারিতার ভিত্তিতেই গ্লিটজের এই বিশেষ রচনা।
এক যুগ আগে একটি সিনেমা বানানোর স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন পরিচালক আশরাফ শিশির এবং আব্দুর রাজ্জাক।
১০ বা ১৫ মিনিটের একটি সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন এই দুজন। পাবনার এক চায়ের দোকানে কাজ করতেন এফডিসি ফেরত সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি একদিন বলেই বসলেন, ‘শিশিরদা তুমি একটা সিনেমা বানাও, আমি তোমার সঙ্গে থাকবো। ’ জবাবে শিশির বলেছিলেন, ‘রাজ্জাক ভাই, আমার তো চাল চুলার ঠিক নাই। সিনেমা বানাবো কীভাবে?’
সময় গড়িয়ে যায়।
আশরাফ শিশির ব্যস্ত হয়ে পরেন লেখাপড়া এবং চাকরি নিয়ে। কিন্তু মাথার ভেতর সিনেমা বানানোর ভূতটা কখনোই যায় নি। এভাবে কেটে গেছে বারোটি বছর।
এক বুক স্বপ্ন, একটি সংগঠন এবং কিছু টাকা নিয়ে আশরাফ শিশির শুরু করেন সিনেমা বানানোর এই যুদ্ধ। ২০০৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ওয়েবসাইট ফেসবুকে চলচ্চিত্রটির নামে একটি গ্রুপ করেন তিনি।
আশারাফ শিশিরের ভাষায়, ‘প্রথমে সবাই এটাকে ফাজলামী বা ধাপ্পাবাজী ভেবেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে উদ্যমী ও সাহসী কিছু তরুণ জুটে যায় আমার সঙ্গে। এক বছরের মাথায় অসাধারণ সাড়া পাই আমি। কেউ অভিনয় করতে চায়, আবার কেউ চায় ডিরেকশন দিতে। ধীরে ধীরে এটা একটা সংগঠনে রুপ নিল।
কমিটি বিহীন, চাঁদা বিহীন একটি খোলামেলা সংগঠন, একটি দাঁড়াবার জায়গা; ভাবনা বিনিময়ের জায়গা। ’
একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে এত নাটকীয়তা সম্ভবত বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এক পর্যায়ে ছবিটির একটি ইংরেজী নামের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন পরিচালক। নাম দেয়া হল ‘দ্যা ইনোসেন্স’। এ প্রসঙ্গে পরিচালক জানালেন, ‘সাধারণত সিনেমার বাংলা নামের সঙ্গে ইংরেজী নামের এবং ইংরেজী নামের সঙ্গে কাহিনীর কোনো সম্পর্ক থাকে না।
তবে আমি আমার ছবির ইংরেজী নামটা কাহিনীর সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছি। তবে বাংলা নামের সঙ্গে এর ইংরেজী নামের অতটা ঘনিষ্ঠতা নেই। কিন্তু দুটি নামের সঙ্গেই ছবির কাহিনীর মিলটা ঠিকই আছে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।