আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্র্যাক ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার টিটুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ॥ উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা জাকিয়া র�

সাফকথা

ব্র্যাক ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখার ফিল্ড অফিসার আব্দুল হাই টিটুর প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিষপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রাক্তন এক গাড়ি চালকের কন্যার জীবন সংকটাপন্ন। লালসার শিকার হওয়া ওই যুবতীর ভাই মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল হাই টিটুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলায় আব্দুল হাই টিটুর পিতা মোতাব্বির হোসেন তালুকদার ও শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা জাকিয়া রেজওয়ানাকে আসামী করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রাক্তন ড্রাইভার মৃত মহিউদ্দিন বেপারীর পরিবারের লোকজন হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাট এলাকার মহিবুর রহমান খানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। তাদের পাশ্ববর্তী একই ঘরের উত্তরের রুমে ব্র্যাক ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার আব্দুল হাই টিটু বসবাস করে।

পাশাপাশি বসবাসের সুযোগে আব্দুল হাই টিটু প্রায়ই ড্রাইভার সেলিম মিয়ার বোন পারভিন আক্তার সেতুকে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রথমদিকে পারভিন তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও এক পর্যায়ে টিটুর প্রেমের ফাঁদে ধরা পড়ে সে। পারভিনকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে টিটু। পরে টিটু পারভিনের সাথে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। এরই মধ্যে বিষপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বাসিন্দা হয় পারভিন।

এদিকে পারভিনের ভাই ড্রাইভার সেলিম মিয়া হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আব্দুল হাই টিটুসহ তার পিতা মোতাব্বির হোসেন তালুকদার ও জাকিয়া রেজওয়ানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টার দিকে পারভিন আক্তার সেতুকে ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে টিটু। এ সময় পারভিন টিটুকে অনুনয় বিনয় করলে টিটু তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয় এবং বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত ঘটনাটি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। এরপর থেকে টিটু ও পারভিন প্রেমের নামে অবৈধভাবে চলাফেরা করতে থাকে। বিষয়টি পারভিনের মা বোন ও সেলিমের স্ত্রী জানতে পেরে তারা ঘটনাটি টিটুর পিতা মোতাব্বির হোসেনকে জানায়।

তখন মোতাব্বির হোসেন ও জাকিয়া রেজওয়ানা বাড়ির মালিক মহিবুর রহমান খানের মধ্যস্থতায় পারভিনকে টিটুর স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে মোতাব্বির হোসেন ও জাকিয়া রেজওয়ানার প্ররোচনায় পারভিনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তুলে নিতে ছলছাতুরীর আশ্রয় নেয় টিটু। এক পর্যায়ে তারা সাফ জানিয়ে দেয় পারভিনকে ঘরে তুলে নেবে না। বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে পারভিনের জবান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর গত ১৬ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে পারভিনের পরিবারের লোকজনের বাইরে থাকার সুযোগে টিটু পারভিনকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক তার মুখে হারপিক ঢেলে দেয়।

এ অবস্থায় পারভিন টিটুর রুমে গাড়গড়ি খেয়ে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পারভিনের ভাই ড্রাইভার সেলিম মিয়া ও তার মা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত ডাক্তার পারভিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে পারভিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে সেলিম মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

পরে বাধ্য হয়ে সেলিম মিয়া হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক মামলা এফআইআর করেন এবং সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত)কে মামলাটির তদন্তভার দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.