থলের বিড়াল বের হতে দেখার দৃশ্যটি একটি আকর্ষনীয় জিনিষ। কে না চায় থল থেকে বিড়ালের বের হবার সেই মুহূর্তটিকে উপভোগ করতে কিন্তু যখন সেটি বিড়াল না হয়ে কুমীর হয়ে বের হয় তখন আনন্দঘন মুহূর্তটি ম্লান হয়ে যে বিষাদের ছায়া নিয়ে আসে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই কুমীর দেখলেই সবার আত্মারাম খাঁচা হয়ে দাড়ায় আর যদি চলন্ত বিমানের মত আবদ্ধ স্হানে থলের ভেতর থেকে জলজ্যান্ত কুমীর বের হবার ঘটনা ঘটে তাহলে সেই বিমানের আরোহীদের মানসিক অবস্হা কি হতে পারে সেটি সহজেই অনুমেয় । ঠিক এমনি একটি দুঃখজনক ঘটনার অবতরণা ঘটেছে আফ্রিকার কঙ্গো দেশের আকাশে।
কঙ্গোর রাজধানী কিংসাসা থেকে ছেড়ে আসা রিপাবলিক চেকস্লাভিয়ার তৈরী লেট এল-৪১০ তুর্বলেত বিমানটি অবতরণের পূর্ব মুহুর্তে এক যাত্রীর ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে থাকা একটি কুমীর বের হয়ে পড়ে।
বিমানের ভেতর জলজ্যান্ত কুমীর দেখে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়ে যাত্রীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। এমনিতে লেট এল-৪১০ বিমানটি আকারে ছোট এরপর যাত্রীদের ছোটাছুটির কারণে বিমানটি তার ভারসম্য হারিয়ে ফেলে এবং কাত হয়ে একটি বাড়ির উপর পড়ে বিধস্ত হয়। বিমানের ২০জন আরোহীদের মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা যাত্রীর ভাষ্য মোতাবেক জানা যায়, স্পোর্ট ব্যাগে লুকিয়ে থাকা কুমীরটি বের হলে যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, এমনকি বিমানবালা এবং স্টুয়ার্ড সকলে ভয়ে দৌঁড়ে পাইলটের কেবিনে আশ্রয় নেয়। এই দুর্ঘটনায় বিমান চালক এবং কোম্পানির মালিক একজন বৃটিশ অপরজন বেলজিয়ামের নাগরিক তারা উভয়েই নিহত হন । বিমান বিধস্ত হবার পর দুর্ঘটনার হোতা কুমীরটি অক্ষত থাকলেও পরবর্তিতে উদ্ধারকর্মীদল এসে কুমীরটিকে পিটিয়ে হত্যা করে ।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।