আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপির থলের বিড়াল ( প্রদীপ সাহা - শোভন - পবন ! )



ম্যাডাম খালেদা জিয়ার অফিসের সামনে বোমা হামলার পর পর অন দ্যা স্পটেই ধরা পড়েছিল , প্রদীপ সাহা । সে ছাত্রদলের কর্মী । তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী , পুলিশ গ্রেফতার করে বিএনপির মহাসচিবের ছেলে পবনেরবন্ধু শোভন কে। আজ একটি টিভি চ্যানেলে দেখলাম, শোভন বলেছে বিএনপিতে একটা অবস্থান ( !) তৈরির জন্যই পবন দুই সন্ত্রাসীকে ভাড়া করেছিল। এরপরও দেখলাম বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মীর্জা ফখরুল শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন।

এখন তিনি বিরোধীদলের নেতার জন্য এসএসএফ ও দাবী করছেন , দরকার হলে আইন বদল করে হলেও। অথচ , জামাত-বিএনপি জোটই ক্ষমতায় থেকে বিরোধী দলের নেতার জন্য এসএসএফ প্রয়োজন নেই এমন আইন করেছিল। এখন তাদের উপর ঠেলা টা পড়েছে - তাই আইন বদল চায় বিএনপি। পুরো দেশবাসীই জানেন , বিএনপি জংগীবাদকে সরাসরি মদদ দেয়। এখন দেখা যাচ্ছে , তাদের মহাসচিবের ছেলেই সন্ত্রাসীদের গডফাদার ।

আর কি কি বিড়াল আছে বিএনপির থলের ভিতর ??? পড়ুন এই রিপোর্ট টি ..... ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপি মহাসচিবের ছেলে আখতার হামিদ পবনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পবনের 'বন্ধু' গ্রেপ্তারকৃত গোলাম সাব্বির শোভন ওই ঘটনায় পবনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার একেএম শহিদুল হক রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান। শোভনকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, তিনি পবনের বন্ধু। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পবনকে গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চলছে বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল হক বলেন, "ককটেল হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পবনের বন্ধু শোভন আমাদের জানিয়েছে, পবনের পরিকল্পনায় বিএনপি অফিসের সামনে ওই হামলা চালানো হয়েছে। " "পবনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হলেও যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় প্রথমেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে চাইনি। তবে এখন তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে", বলেন তিনি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে দুটি পটকার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেদিনই ওই এলাকা থেকে সোনাইমুড়ী থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, বিস্ফোরণে দেলোয়ারপুত্র পবনও আহত হন। শোভনকে শনিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির সামনে থেকে গ্রেপ্তারের পর তার কলাবাগানের বাসা থেকে দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, ওই গাড়ি দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। শোভন রোববার গোয়েন্দা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন পবন বাসা থেকে মিথ্যা কথা বলে তাকে গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যায়। এরপর পবন তাকে 'ককটেল' হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলে, তার (পবনের) ওপর এরকম একটি হামলার কথা প্রচার হলে বিএনপির মহানগর কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেতে তার সুবিধা হবে।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় শোভন বলেন, "আমার (শোভনের লাল রঙের জিপ) গাড়ি থেকে নেমে পবন অফিসের গেটে দাঁড়ায়। এ সময় দুজন যুবক আমার গাড়িতে ওঠে। একটু পর তারা গাড়ি থেকে নেমে অফিসে যায়। ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়ে তারা গাড়িতে উঠে দ্রুত গাড়ি চালাতে বলে। " প্রদীপ একটি মোটর সাইকেল নিয়ে জিপটি অনুসরণ করছিলো বলে শোভন জানান।

তিনি জানান, গাড়িতে থাকা দুই যুবককে তিনি বিজয় স্মরণীতে নামিয়ে দেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআইটি/এমআই/১৪০০ ঘ.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.