চুপ!
ক্যামেরা (কালপুরুষ দা এর) - ফটোওয়াকের প্রধান উপকরণ
আমি কিন্তু ঠিক ঠিক সাড়ে দশটায়ই পৌঁছে যাই নির্ধারিত ভেন্যুতে ফটোওয়াকের (!)জন্যে।
ওয়াক কতটুকু হয়েছিল আর তারপর কী ঘটেছিল ইতোমধ্যে তার ছবি সহযোগে ডিটেইল বর্ণনা পেয়েছেন সবাই ক্যামেরাম্যানের পোস্টে আর ধারাবাহিক ঘটনার মতো ছবি পেয়েছেন শুভ্র নামের ছেলের কাছ থেকে , বৃত্তবন্দীর বন্দী করা দারুণ সব চিত্র দেখে ফেলেছেন আর ব্লগারদের ক্যামেরাসহ পোজের ছবিও পেয়ে গেছেন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে ।
আমার দেওয়ার মতো আর কিছুই বাকী রইল না।
শুধু বলতে পারি কিছু মুহূর্তের কথা- সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্য দিয়ে ছবির হাট থেকে রমনার কালীমন্দিরে যাওয়ার ওয়াকটা (সত্যিকার অর্থেই ফটোওয়াক যদিও খুব অল্প সময়ের জন্যে)।
শাঁখারীবাজারে দলের ছিন্নভিন্ন অবস্থায় যখন ওয়েট করছি অন্যদের জন্যে, ইতিউতি তাকাচ্ছি ছবি তোলার সাবজেক্টের জন্যে- মিষ্টির দোকানদার আমায় জিজ্ঞেস করে- ছবি তোলার আর কিসু খুইজা পাইতাসেন না?
আর মজা লেগেছিল শাঁখারীবাজার থেকে বাংলাবাজার হেঁটে যাওয়ার পথে পুরান ঢাকার ঘ্রাণ, ছোট গলিতে আলোর কাজ (রাতে আসলে যে কী জোস লাগত এই ভেবে আফসোস!)
আহসান মঞ্জিলের সামনে গিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়াটা ছিল চরম (মনে মনে এই ভয়টাই আমি পাচ্ছিলাম- বিশিষ্ট কুফারাণী আমি যে জাদুঘরেই যাই না কেন ওটা ওইদিন বন্ধ থাকবেই! পরীক্ষিত সত্য)।
আহসান ভাইকে ডেকে ডেকে গলা ফাটিয়ে ফেলেছিল শুভ্র কিন্তু আহসান ভাই জবাব দিল না।
ভ্যানে চড়ে বৃষ্টির মধ্যে ঢাকেশ্বরীতে আসাটা ছিল অ-সাম, তার থেকেও বেশী খুশী লাগছিল আইরিন সুলতানা আপুর হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে যেন ভ্যান ঠিক তো নয় উনাকে কেউ আকাশের চাঁদ এনে দিয়েছে। ধন্যবাদ বৃত্তবন্দীকে নিজে ভিজে তার রেইনকোটে আমার ও তার ক্যামেরার জীবন বাঁচানোর জন্যে।
রাষ্ট্রপ্রধানের কমলা রঙ এর ক্যামেরা এবং কমলা রঙ এর তোয়ালে অভুলনীয়, সেই সাথে তার ব্যাগের কমলা রঙ এর স্ট্র্যাপ । অপূর্ব দুই মডেল ছিলেন আমাদের সাথে যেমন ইকোনমিক্স ও তার বন্ধু, অতি অল্প সময়ে মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার অদ্ভুত গুনের অধিকারী।
কাজের ফটো সবাই দিয়ে দিয়েছে, এবার তাহলে কিছু আজাইরা ফটো হয়ে যাক-
এখান থেকেই যাত্রার শুরু
পতঙ্গ- যাত্রা শুরুর পূর্বের শিকার
চল চল চল
সূচালো চলা
(ভয় নেই, আমাদের সুন্দরীদের কারো পা এটি নয়, আমার সামনের বাধা ছিল এ পা)
কর্তা ও কর্ম (তিন কোণে বন্দী বৃত্ত)
অসহায় কর্ম
এটি কে আমি বলব না
মন্ডার মাছি
(অপেক্ষা করি আর মাছি তাড়াই! )
শৃংখল
ঝুলন্ত ভালবাসা
দুর্জেয় (জরা তাঁকে জয় করতে পারে নি)
এই ছবি তুলতে গিয়ে আমি দলছুট হয়ে গিয়েছিলাম।
নিবেদন
অর্ঘ্য
গ্রহণ
কেউ চায় ক্যামেরায় ধরতে, কেউ বা চায় ধরা পড়তে
স্ট্যাচু
(এইভাবে যীশূ দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্তত পাঁচ মিনিট, কোন সুন্দরীর ছবি ধরেছিলেন জাতি দেখতে চায়! )
ধূপ
প্রতিমা
ঐ দেখা যায় ঢাকেশ্বরীর চূড়া, ঐ আমাদের বাসা
এইবার বোঝেন আমার কানের কী দশা!!
এখনো পর্যন্ত ফাঁকিবাজের কাতারে আছেন কালপুরুষ দা আর যীশূ, একরামুল শামীমও কিন্তু কম ছবি তোলেন নি! ব্লগারদের পক্ষ থেকে উনাদের ছবিব্লগের সুতীব্র দাবি জানাচ্ছি।
টাটা বাই বাই
আমি এবার রাতের খানা খাইতে যাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।