আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যানের আহ্বান

গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সুপারিশগুলো প্রত্যাখ্যান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান। একই আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ, সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে লেখা বিশিষ্টজনদের খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সদস্যরা সরকারকে বিপদে ফেলার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এটা বাংলাদেশি জনগণ ও এর মিত্রদের সম্পর্ককে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি লেখা দুটি পৃথক খোলা চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সুপারিশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের অন্যতম হলেন সিনেটর বারবারা বক্সার, মাইকেল জে এনজি, টিম জনসন, কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি, মাইকেল এম হোন্ডা, বেটি ম্যাককুলাম, জিম ম্যাকডরমেট প্রমুখ।
অন্যদিকে বিশিষ্টজনদের তালিকায় রয়েছেন নোবেল বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্ত ফক্স, নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হার্লেম ব্রান্ডল্যান্ড, পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টলেডো, ইউএন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ট্রেড টার্নার, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট প্রমুখ।
সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা খোলা চিঠিতে বলেছেন, এই কমিশনের সুপারিশগুলো বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকাকে বিপদে ফেলতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে অনেক সুবিধা পেয়েছে। লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উত্তরণ ঘটিয়ে তাদের দারিদ্র্য বিমোচন করতে সহায়তা করছে গ্রামীণ ব্যাংক।

এই ব্যাংকের ঋণগ্রহীতার ৯৭ শতাংশই নারী, যাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে, যা সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে বাধ্য করেছে। কিন্তু এই নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সুপারিশগুলোর মৌলিকভাবে বৈপরীত্য রয়েছে।
ঋণগ্রহীতা সদস্যদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশের সমালোচনা করা হয়েছে ওই চিঠিতে। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারি শেয়ার বাড়ানো এবং একে টুকরা টুকরা করার সুপারিশগুলোকে ‘ধ্বংসাত্মক’ হিসেবে মনে করেন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা।


চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সুপারিশগুলোর কোনো একটি বাস্তবায়ন করা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে নারী ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারধারীদের অবমূল্যায়ন করা হবে; যাঁরা এই ব্যাংকের সাফল্য এনে দিয়েছেন, যাঁরা তিন দশক ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে গ্রামীণ ব্যাংককে সুরক্ষা করেছেন। ’
অপর খোলা চিঠিতে প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন ৪০ জন খ্যাতনামা ও বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) ও অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলে কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ’
উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশিষ্টজনেরা আরও বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সদস্যরা সরল বিশ্বাসে কাজ করছেন না।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, কমিশনের অর্ধেক সদস্যই দীর্ঘসময় ধরে তাঁদের কাজে অনুপস্থিত ছিলেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.