আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেয়ার বাজার-১৬: মুভিং এভারেজ

oracle.samu@googlemail.com

টেকনিকাল এনালাইসিসের ১ম পর্বে আলোচনা করে ছিলাম কেন্ডেল স্টিক নিয়ে আর আজ আপনাদের বলব মুভিং এভারেজ (MA) ও আর এস আই(RSI) এর গল্প। মুভিং এভারেজ (MA) : এর ভাল বাংলা কি হবে তা নিয়ে আমি বেশ সদ্ধিহান তার পরেও সাহস করে এর একটা বাংলা নাম দিলাম 'চলমান গড়' (বাংলা সাহিত্য অনুরাগী বা বাংলা একাডেমির পাবলিকরা আমেরে নিশ্চিত দৌড়ানি দেবে এমন কু-কর্মের জন্য )। তা এই চলমান গড় কি জিনিস তার ডেফিনেশন না দিয়ে বরং একটা উদাহরন দেই তা হলে হয়ত সবাই ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন- ধরুন শেয়ার 'ক' এর গত ৬ দিনের মূল্য হলো - ৫০, ৫২, ৫৫, ৫৩, ৫৪, ৫৫ টাকা । তা হলে ২ দিনের চলমান গড় - ৫১, ৫৩'৫, ৫৪, ৫৩'৫, ৫৪'৫ এবং ৪ দিনের চলমান গড় - ৫২'৫, ৫৩'৫, ৫৪'২৫। অনেক ধরনের মুভিং এভারেক রয়েছে, যেমন - simple moving average (SMA), Cumulative moving average, Weighted moving average, Exponential moving average(EMA)।

এর মধ্যে আমাদের কাজে লাগবে Exponential moving average(EMA) যা exponentially weighted moving average (EWMA) নামেও পরিচিত। এর ইংরেজী নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে কি ভাবে তা কেলকুলেট করা হয় । পদ্ধতিটা হল গড় নির্নয়ের সময় প্রতিটি সংখ্যাকে এক্সপিনেনসিয়ালি কমতে থাকা একটি সংখ্যা (ভর) দিয়ে গুন করে যোগ করা হয়। সাম্প্রতিক ডাটায় ভর বেশি ও পুরন ডাটায় ভর কম। যারা আরো বিস্তারিত জানতে চান তারা উইকি থেকে ঘুরে আসতে পারেন http://en.wikipedia.org/wiki/Moving_averag MACD (Moving Average Convergence / Divergence) : এটার বাংলা করা আর সাহসে কুলোচ্ছে না ।

বিশাল সব ডেফিনেশ না দিয়ে একটা ছবি দিলাম আশা কেরি এটা দিয়েই এমএসিডি বোঝাতে পারব উপরের ছবিটি দেখুন - ২ টা গ্রাফ রয়েছে, ১ম টিতে থাকা লাইন ২ টির একটি (খয়েরি রং) ২৬ দিনের এক্সপোনেনসিয়াল চলমান গড় ও অপরটি (গোলাপি) ১২ দিনের এক্সপোনেনসিয়াল চলমান গড় নির্দেশ করছে। অপর দিকে ২য় গ্রাফে (ছবির নিচের অংশ) ও ২টি লাইন প্রদর্শন করছে যার একটি (নীল) সেই ২৬ ও ১২ দিনের এক্সপোনেনসিয়াল চলমান গড়ের পার্থক্য নির্দেশ করছে আর অন্য লাইনটি (লাল) ৯ দিনের এক্সপোনেনসিয়াল চলমান গড় নির্দেশ করছে। আর বার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে লাল ও নীল রঙ্গের লাইন দুটির দূরত্ব দেখান হয়েছে। Relative Strength Index (RSI) : আরো একটি চার্ট যা সাম্প্রতিক সময়ে একটি শেয়ারের শক্তিমত্যা বুঝতে কাজে লাগে। কি ভাবে কেলকুলেট করা হয় তা জানতে উইকি ঘাটুন Click This Link ।

তবে আমাদের কাজ মুলত এপ্লাইড মানে কি ভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা। আর এটা খুবই সহজ। ছবি দেখুন ৩০ ও ৭০ এ ২ টি লাইন টানা হয়েছে । ৩০ বা এর নিচে নামলে আন্ডার বাই এবং ৭০ বা তদুর্ধ অবস্থাকে ওভার বাই কনডিশন হিসেবে দেখা হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা কি পরিমানে শেয়ারটি কিনছে তা ০-১০০ রেন্জে প্রদর্শন করে RSI গ্রাফ।

আজ এ পর্যন্তই অনেকে হয়ত গত পর্ব ও আজকের পর্ব নিয়ে বিরক্ত হচ্ছেন (কি শুধু তত্ব নিয়ে নাড়া-চারা; কি ভাবে কেনা-বেচায় কাজে লাগবে তা বলছে না )। আমাদের বেসিক জ্ঞান লাভ এই পর্বেই শেষ আগামী পর্বে ইনশাল্লাহ ট্রেডিং সিগ্নাল নিয়ে আলোচন করব। সবাই ভাল থাকবেন। শেয়ার বাজার নিয়ে আমার লেখা সব পোস্ট একত্রে পেতে ক্লিক করুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.