বিশ্বকাপের দল নিয়ে কে কি ভাবছেন?
আসুন তো দেখি কোথায় কোথায় একটু ভেবে দেখা দরকার..?
রাকিবুলের মত ওয়ানডের মেজাজ না বুঝে খেলা ব্যাটসম্যানকে অবিলম্বে দল থেকে বের করে দেয়া হোক। আগামী বিশ্বকাপের জন্য ওকে চিন্তা করলে ও একাই ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। একই মত জুনায়েদের ব্যাপারেও। এই ছেলে দুটার টেকনিক এবং মানসিকতার সমস্যা প্রকট। ইভেন এদের ক্যাপাবিলিটি নিয়েও আমার বিস্তর সন্দেহ।
ওরা আরো দুবছর টেস্ট খেলুক না! দ্রাবিড় খেলে নাই!!
এখন কথা হল, এদের জায়গায় কাকে চিন্তা করা যায়? আফতাব, অলক ও আশরাফুলদের যদি এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ভুলে যেতে শুরু করি তাহলে আমাদের কপালে খারাবি আছে। যতটুকু সময় আছে ফেরার পথ করে দিতে হব, এবং অবশ্যই পারফরমেন্স যাচাই করতে হবে।
পেস বোলিংয়ে ইদানিং না হয় ভাল হচ্ছে। তাই বলে উল্লাসের কোন কারণ আমি দেখছি না। স্লগ ওভারে বলিং করা না শিখলে ম্যাচ হারানোর জন্য এই বিষয়টা একলাই যথেষ্ট।
অনেক দিন ধরেই আমরা শেষ পাওয়ার প্লে-তে স্পিন দিচ্ছি আর লোয়ার মিডল অর্ডার তো বটেই এমনকি টেল এন্ডাররাও এসে দু-চারটা চার-ছয় মেরে যাচ্ছে। রান কিন্তু আনগেটেবল হয়ে যায় এখানেই। সো, স্লগ ওভারের জন্য পেস বোলিংকে তৈরি করতে হবে। এখানে অনেক কাজ বাকী।
প্রসঙ্গ আসে কিপিংয়ের।
মুশফিক ক্রিকেট ভাল বোঝে, ব্যাটিংটাও খুব মন্দ নয়। মাঝে মধ্যে লোয়ার মিডল-এ বেশ কার্যকর হয়ে ওঠে, বিপদ সামাল দেয়ার জন্য সমান উপযুক্ত। কিন্তু এই ছেলে যদি এভাবে কিপিংয়ের প্রতি অমনোযোগী হয়ে ওঠে তাহলে বিপদ আছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে চান্স মিস করলে ওটাই শেষ পর্যন্ত টার্ণিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। সো, এই জায়গায় হয় মুশফিককে আরো মনোযোগী ও টেকনিক্যাল করে তুলতে হবে নয়তো বিকল্প খোঁজার সময় এসেছে।
এবং বিকল্প হিসেবে যে আসবে তাকে ব্যাটিংটা ভাল করতে হবে।
ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। স্লিপ ফিল্ডিংয়ে আমাদের দুর্বলতা চোখে পড়ার মত। অন্যান্য সব জায়গায় মোটামুটি সন্তোষজনক ফিল্ডিং করে ছেলেরা। তবে সিঙ্গেলগুলোকে যেন ডাবল না করে ফলে ব্যাটসম্যানরা সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
আরো ক্ষীপ্র করে তুলতে হবে। ঘাম ঝরাতে হবে অনেক।
তবে, পরোক্ষ আরো একটা বিষয় নিয়ে আমার ভাবনা আছে। প্লেয়ারদের ফিটনেস। আমার মনে হচ্ছে আমাদের ছেলেরা ফিজিক্যাল স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে না।
ফিজিক্যাল স্ট্রেংথ কমে গেলে ইনজুরি ছোবল মারে সহজেই। ফিনেস বাড়াতে তাই স্টেংথ বাড়াতে হবে। হালকা-পাতলা, কিংবা নাদুস-নুদুস হলে হবে না। স্ট্রং হতে হবে। মাসলম্যান হতে বলছি না।
আমার মনে হয় সবাই বুঝতে পারছে আমি কি মিন করছি।
তবে, আমাদের জন্য গর্ব হল আমাদের শৃঙ্ঘলাবোধ। এটা ধরে রাখলে আমরা অবশ্যই ভাল করব......কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমাদের পরিশ্রম করার মানসিকতাও আমাদের এগিযে যাবার পথে প্রধান শক্তি।
আর আছে আমাদের ষোল কোটি হৃদয়ের শুভকামনা।
বিশ্বকাপে ভাল করতে আর কি লাগে.....!
অবশেষে দেখুন তো, চৌদ্দ জনের দলটে পছন্দ হয় কি-না? আপনার মতামতও দিন।
১. তামিম ইকবাল
২. শাহরিয়ার নাফিস
৩. আফতাব আহমেদ
৪. ইমরুল কায়েস/মোহাম্মদ আশরাফুল
৫. সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক)
৬. অলক কাপালি
৭. মুশফিক রহিম (সহ-অধিনায়ক)
৮. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
৯. মাশরাফি বিন মর্তুজা
১০. শফিউল ইসাম
১১. রুবেল হোসেন
রিজার্ভ
১. সৈয়দ রাসেল
২. আব্দুর রাজ্জাক
৩. ধীমান ঘোষ
আবারও টাইগারদের প্রতি অশেষ শুভকামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।