সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই
পৃথিবী একসময় বেশ শান্ত ছিল ধর্ম আর কুসংস্কারের অন্ধকারে। কিন্তু কিছু বিজ্ঞানী আর কিছু সাধনাকারীর চেষ্টায় এই পৃথিবী কেবল পরিবতর্নই হয়নি মানুষের বহুদিনের পুরোনো কুসংস্কারগুলো ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। তাদের সেই আবিষ্কারের মুহুর্ত নিয়ে আমার এই লেখা। (এই পোষ্টের সমস্ত লিখা গুলো আমার কল্পনা প্রসূত। )
কোপারনিকাসের সূর্যের আলো
বইটা পাশেই ছিল।
হাইপেশিয়ার এই বইটা কোপারনিকাসের খুব কাজেই লেগেছে। এইতো আর একটু পড়লেই হয়ত এই প্রশ্নের উওরটা পাওয়া যাবে। । আরে এইতো এইতো। হ্যা এটাই সত্য।
পৃথিবী অবশ্যই সূর্যের চারদিকেই ঘুরে। আনন্দে চোখে পানি এসে গেল তার। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মনে হল তার। তার ইচ্ছা করছে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে এই সত্য তা। কিন্তু কিন্তু বাইবেলের বিশ্ব কি তা মানবে।
মুহূর্তেই কি যেন বিধে গেল কোপারনিকাসের মনে। কিভাবে সে তার তত্ত্ব তা জানাবে......
কোপারনিকাসের পৃথিবী যে সূর্যের চারদিকে ঘুরে সেই আবিষ্কারের মুহুর্ত টুকু।
গ্যাল্যালিও গ্যালিলির দুরবীক্ষন
না না কেপলার যা বলেছেন তাই সত্য। কিন্তু এটাতো প্রমান করতে হবে তাই এত আয়োজন। দূরের জিনিস কাছে এনে দেখার প্রচেষ্টা চলছে।
এইতো কাচের এই খন্ড(লেন্স) তা বসিয়ে দিল গ্যালিলিও। তার পর সরু নলে চোখ লাগালেন। আহ দারুন সব কিছু কাছে দেখা যাচ্ছে। সব কিছু যেন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে। অসাধারন লাগছে মহাশূন্যের নক্ষএগুলো।
মন নেচে উঠল তার আজ যেন নতুন দুয়ার উম্মোচিত হল পৃথিবীর সামনে।
গ্যাল্যালিওর দূরবিক্ষন আবিষ্কাকের মুহুর্তটি(কাল্পনিক)।
ডারউইন: আমরা মানুষ
ডারউইন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন জানালার সমানের একটু দুরের গাছ তার দিকে। মনে একটিই কথা আসলেই কি তাই ? না না ভুরু কুচকে আবার পড়া শুরু করলের তার গবেষনা পএটি। না একই কথা বলছে এতে কোন ভুল নেই।
মানুষ তাহলে বিবর্তনের ফসল। হঠৎাত তার মনে হল পৃথিবীতে মানব জাতির মত ভাগ্যবান খুব কম সংখ্যক প্রাণী। এত অসহায় সে, অথচ আজও পৃথিবীতে টিকে আছে। জানালার টুনটুনি পাখির ডাকে তার চেতনা ফিরে এল। তত্ত্বটিকে যে পরিপূর্ন কাঠামোতে রুপ দিতে হবে।
ডারউইনের বিবর্তন মতবাদ আবিষ্কারের মুহুর্তটুকু।
নিউটনের আপেলগাছ
প্রশ্ন অনেক কিন্তু উওর যে কিছুতেই খুজে পাচ্ছে না। তার কেন জানি মনে হচ্ছে যে সব প্রশ্নের উওর একসূ্ত্রে গাথা। কিন্তু কি সেটা? মেজাজ টাই চরে যাচ্ছে তার। খাতা আর বইটি নিয়ে নিউটন চলল আপেল গাছের তলায়।
তার মেজাজ যখন বিগড়ে যায় তখনই সে আপেল গাছের নিচে চলে যায়। তখন মনের মত করে কিছু পড়াশুনা করতে পারে সে। গাছের তলায় গিয়ে দেখলেন কতগুলো আপেল পড়ে আছে। ঠিক তখন চোখের সামনে একটি আপেল পড়ল তার সামনে। আপেলটা হাতে নিয়ে কি মনে করে যেন উপরের দিকে ছুড়ে মারলেন।
স্বাভাবিক ভাবেই আপেলটি আবার মাটিতে পড়ে গেল। হ্যা পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি। শরীর মন দুটোই যেন চরম ভাবে ঝাকি খেল তার। পৃথিবী অবশ্যই আকর্ষন করেছে এই আপেল টিকে। যার কারনে আপেলটি নিচে পড়েছে, আর তিনি মাটির উপর দাড়িয়ে আছেন।
এর নাম সে দিল অভিকর্ষ। এখন গানিতিক ভাবে তা প্রমান করতে পারলেই হল।
নিউটনের অভিকর্ষ মহাকর্ষ আবিষ্কারের মুহুর্তটুকু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।