থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২০ অক্টোবর [ Click This Link ]
মমিদের নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। কিন্তু দেশে বসে এ সমন্ধে জানতে পারাটা একটু কষ্টকরই বলা যায়। তবে আজকের 'বাংলাদেশ প্রতিদিন'-এ এ সমন্ধে একটা সংবাদ পড়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
পড়ে মনে হয়েছে, বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ 'টাইটানিকে'র দুর্গতির একটা অন্যতম একটা কারন তাইলে মমি-ই!
কাহিনীর শুরে এ ভাবেঃ
খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতকে মিসরে আমেনরা নামে এক রাজ কুমারী মারা যান। তাকে যথা নিয়মে সমাধিস্থ করা হয়।
অনেক বছর পর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তার মমিটি কেনার জন্য চারজন ইংরেজ মিসরে আসেন এবং তারা রাজকুমারী আমেনরার মমিটি ক্রয় করেন। কিন্তু এর জন্য তাদের নিদারুণ দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়। মমিটি কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় চারজনের মধ্যে একজন মরুভূমিতে ঝড়ের কবলে পড়ে মারা যান।
তারপর ইংল্যান্ডে ফেরার পর তাদের একজন দেখেন তার সব সম্পত্তি কেউ একজন আত্মসাৎ করেছে। অপরজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার চাকরি চলে যায়।
মমিটির পরবর্তীতে স্থান হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। কিন্তু যেই একবার মমিটিকে স্পর্শ করেছে তাকেই কোনো না কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এমন কি এক দর্শনার্থী যে কিনা কাপড় দিয়ে মমিটির মুখ পরিষ্কার করেছিল এক সপ্তাহের মধ্যে তার ছেলে মারা যায়।
আর একবার এক ফটো সাংবাদিক মমিটির ছবি তুলেছিলেন। ছবিটি ডেভেলপ করে তিনি দেখেন রাজকুমারীর মুখের বদলে এক বীভৎস ও বিৃকত মুখ। সে রাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
এরপর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মমিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেন এবং এটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিনই কর্মকর্তারা দেখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার লাশ পড়ে আছে টেবিলের ওপর।
কিন্তু মানুষের শখ চিরন্তন।
এত কিছুর পরও এক আমেরিকান পর্যটক মমিটি কিনে স্বদেশে ফেরার জন্য নিউইয়র্কগামী একটি জাহাজের কেবিন ভাড়া নেন। কিন্তু এ যাত্রাই ছিল জাহাজটির প্রথম ও শেষ যাত্রা।
এ যাত্রাপথেই জাহাজটি ডুবে যায় এবং এটিই ছিল বিশ্ব বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।